IQNA

অস্তিত্ব জগতের শ্রেষ্ঠ দিবস বা বার্ষিকীর কথা

14:15 - April 03, 2019
সংবাদ: 2608255
তোমারে না সৃজিলে প্রভু জগত সৃজিত না কভু সৃষ্টির মূলে যে তুমি একথা বলেছেন বিভু ... যতদিন এ দুনিয়া রবে চাঁদ-সুরুয আকাশে হবে তোমারি নামের বাঁশি বাজিতে রহিবে ভবে... মোদের চোখের মনি তুমি যে দয়ার খনি তোমারে বাসিয়া ভালো দিবস যাইব গণি...

অস্তিত্ব জগতের শ্রেষ্ঠ দিবস বা বার্ষিকীর কথাবার্তা সংস্থা ইকনা: ২৭ রজব নিখিল জগত ও অস্তিত্ব জগতের শ্রেষ্ঠ দিবস তথা মহান আল্লাহর প্রিয়তম হাবিব রাসুলে পাকের রেসালাত লাভের বার্ষিকী। অনেকের মতে ২৭ রজব হযরত মুহাম্মাদ (সা.) ঊর্ধ্বলোকে আধ্যাত্মিক সফর বা মে’রাজে গমন করেছিলেন। কিন্তু অনেক আলেম মনে করেন ২৭ রজব বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা:)’র নবুওত প্রাপ্তি দিবস এবং এ দিনেই পবিত্র কুরআন সামগ্রিকভাবে রাসূলে পাকের কাছে নাজেল হয়েছিল। আর ধাপে ধাপে তা প্রথম নাজেল হয়েছিল রমজান মাসের ক্বদরের রাতে। ২৭ রজবের এই দিনে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা) ও তাঁর পবিত্র বংশধরদের শানে পেশ করছি অশেষ দরুদ ও সালাম।

মানবজাতির সর্বশেষ রাসূল ও নবী মুহাম্মাদের আগমন ঘটে পৃথিবীর ঘোর দুর্দিনে। অজ্ঞতা, নৈরাজ্য, হানাহানি, কুসংস্কার ও মানবতাহীনতার চরম আঁধারের শিকার মানব জাতিকে মুক্তি দিতে তথা  সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে পূর্ণতা দিতেই তিনি আসেন। কুরআনে বলা হয়েছে- 'নিঃসন্দেহে আল্লাহ বিশ্বাসীদের প্রতি অনুগ্রহ করেছিলেন যখন তিনি তাদের মধ্য থেকেই একজনকে রাসূল হিসেবে মনোনীত করেন যিনি তাদের কাছে আল্লাহর নির্দেশাবলী পাঠ করেন,তাদের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করেন সব ধরনের অজ্ঞতা ও বর্বরতার কলুষতা থেকে,তাদেরকে ধর্মের বিধান ও  হিকমাত তথা প্রজ্ঞা আর জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষা দেন, এর আগে তারা ছিল অজ্ঞতা ও বিপথগামিতার  অন্ধকারে নিমজ্জিত।'

মহান আল্লাহ বলেছেন,"আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি দরুদ পাঠান। হে মুমিনগণ! তোমরাও নবীর রহমতের তরে দরুদ পাঠাও এবং তাঁর প্রতি যথাযথ সালাম পাঠাও তথা  পুরোপুরি তাঁর অনুগত হও।" 

ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মাদ (সা) ছিলেন মহান আল্লাহর সর্বপ্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। সব নবী-রাসুলেরও নেতা তিনি। মহানবীর (সা) আগমনের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন প্রত্যেক নবী। পবিত্র কুরআন বলে, মহানবীকে পাঠানো হয়েছে পুরো মানবজাতির জন্য। সুরা তওবায় মহান আল্লাহ বলেছেন, তিনিই পাঠিয়েছেন আপন রসূলকে হেদায়েত ও সত্য-ধর্ম সহকারে, যেন এ ধর্মকে অন্যান্য ধর্মের উপর জয়যুক্ত করেন,যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে। 

তাই নিঃসন্দেহে ইসলাম ধর্ম সর্বজনীন ও শ্রেষ্ঠ ধর্ম এবং মহানবীর রেসালাত কোনো অঞ্চল, সময় ও ভাষা, বর্ণ আর গোত্রের গণ্ডীতে সীমিত নয়। কুরআন আরও বলে,মহানবীকে (সা) গোটা মানবজাতির জন্য সুসংবাদদাতা ও ভয় প্রদর্শনকারী হিসেবে পাঠানো হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেছেন: আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্যে রহমত হিসেবেই পাঠিয়েছি।- আল্লাহর সবচেয়ে বড় রহমত হলেন বিশ্বনবী (সা)। তাই তাঁকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ কিছুই সৃষ্টি করতেন না। 

মহানবী (সা) মহান আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি ও সর্বোত্তম আদর্শ। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করে, তাদের জন্যে রাসূলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে শ্রেষ্ঠ আদর্শ। বিশ্বস্ততা ও সততার জন্য শত্রুরাও তাঁকে বলত আল-আমিন!

মহান আল্লাহ মহানবীর নবুওতের শুরুতেই তাঁর শ্রেষ্ঠ চরিত্রের স্বীকৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘নিঃসন্দেহে তুমি অতি মহান চরিত্রে প্রতিষ্ঠিত।’ ব্যবহারিক ক্ষেত্রে মুমিনদের প্রতি তাঁর ভালবাসার তীব্রতাকে এভাবে তুলে ধরেছেন মহান আল্লাহ, ‘তোমাদের দুর্ভোগ তার পক্ষে দুর্বিষহ। সে তোমাদের কল্যাণের অভিলাষী, বিশ্বাসীদের প্রতি অতিশয় দয়ার্দ্র ও পরম দয়ালু।’ মহান আল্লাহর প্রিয় বান্দাহ হতে চাইলে পবিত্র কুরআনের এ উপদেশটি হৃদয়ে গেঁথে নেয়া উচিত যাতে বলা হয়েছে,  ‘ তারা যদি আল্লাহকে ভালবাসে তাহলে তারা যেন আল্লাহর শেষ রাসুলের অনুসরণ করে যাতে আল্লাহও তাদের ভালবাসেন।’

মহানবী বিশাল সাম্রাজ্যের অধিপতি হয়েও দুনিয়ার চাকচিক্যকে গুরুত্ব দেননি। তাই মাটিতে বসে খেতেন, ক্রীতদাসের মত বসতেন। নিজ হাতে চপ্পল সিলাই করতেন, কাপড়ে তালি দিতেন, জিন বা আসনবিহীন গাধার ওপর আরোহণ করতেন এবং গাধার পিঠে যখন চড়তেন তখন তাঁর পেছনে অন্য  ব্যক্তিকেও বসাতেন। একবার তাঁর বাড়ীর দরজায় ছবিযুক্ত পর্দা দেখে তাঁর একজন স্ত্রীকে বলেছিলেন,’ পর্দাটি সরিয়ে ফেল। কারণ এদিকে তাকালে দুনিয়া ও এর চাকচিক্যের কথা স্মরণ হয়।‘ তিনি এভাবে অপছন্দনীয় বিষয় স্মরণ করতেও ঘৃণা বোধ করতেন।

অন্যদিকে মহানবী (সা) ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে রুচিশীল মানুষ। এমনিতেই তার গা থেকে সুগন্ধ বের হত।  তা সত্ত্বেও তিনি তার দৈনিক খরচের বেশিরভাগই ব্যয় করতেন সুগন্ধি ব্যবহারে। তিনি কোনো স্থান দিয়ে যাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পরও সেখানে তার উপস্থিতির সুগন্ধ অনুভব করত লোকেরা। মিসওয়াক, চিরুনি, আতর ও জায়নামাজ ছিল তাঁর সফরের অপরিহার্য উপকরণ। তিনি জীবনে একবারের জন্যও কোনো অশুদ্ধ বা আঞ্চলিক অস্পষ্ট ভাষায় কথা বলেননি। 

মানুষের সঙ্গে চলা-ফেরা ও লেনদেনের ক্ষেত্রে মহানবী কঠোর ও রুক্ষ ছিলেন না। বরং ছিলেন সর্বোচ্চ মাত্রায় মিশুক, খোলামেলা, হাসি-খুশি, কোমল, দয়ার্দ্র ও আন্তরিক। সবার চেয়ে বেশি শালীন-কৌতুক করতেন পরিবারের সদস্য ও সাহাবিদের সঙ্গে। তবে কখনও অট্টহাসি হাসতেন না। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি হিসেবে তিনি অনেক সময় যুব শ্রেণীর ছোটখাটো অপরাধ ক্ষমা করে দিতেন। তিনি কোনো কোনো ব্যক্তির স্বঘোষিত ব্যক্তিগত অপরাধের কথা শুনেও না শোনার ভান করতেন।

যদি কেউ মহানবীকে (সা) অসম্মান করত তিনি প্রতিশোধ নিতেন না। অন্যদের ভুল ও দুর্ব্যবহারকে ক্ষমা করতেন। তাদের অত্যাচার ও নিপীড়নের বিপরীতে ক্ষমা, মহানুভবতা এবং বদান্যতা প্রকাশ করতেন। কুরাইশদের শত অত্যাচার ও নিপীড়ন সহ্য করেও তিনি মক্কা বিজয়ের পর তাদেরকে ক্ষমা করেছিলেন এবং মুক্তি দিয়েছিলেন। তবে কেউ ইসলামের সীমা অতিক্রম করলে কঠোর হতেন। তাই উচ্চ বংশের নারী “ফাতিমা মাখযুমী” চুরি করায় তার শাস্তি মাফের সুপারিশে কান দেননি। তিনি বললেন :  পূর্ববর্তী গোষ্ঠীগুলো ধ্বংস ও বিলুপ্ত হয়েছিল সমাজের উচ্চ শ্রেণীর লোকদের ওপর খোদায়ি আইন জারি করত না বলে। আল্লাহর শপথ! যদি আমার কন্যা “ফাতিমাও” এই কাজ করত আমি তার হাত কেটে ফেলতাম।

মহানবী (সা) তৎকালীন আরব সমাজের বেশিরভাগ মানুষের হৃদয় জয় করেছিলেন তার সুন্দর ও শ্রেষ্ঠ চরিত্র আর ক্ষমা-সুন্দর ব্যবহার দিয়ে। রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক, পারিবারিক, দাম্পত্য ও ব্যক্তিগত জীবন এবং যুদ্ধ-বিদ্যাসহ সব ধরনের শিক্ষা ও মানবিক বিষয়ে মহানবী (সা) ছিলেন শ্রেষ্ঠ আদর্শ। তাই মহানবীর অনুসারী বা মুসলমান হওয়ার দাবি করলে জীবনের সব ক্ষেত্রেই প্রিয় নবীজীকে শ্রেষ্ঠ আদর্শ বলে মানতে হবে।

শান্তি ও সংকটকালীন সময়সহ ইসলাম ও মুসলমানদের ভবিষ্যৎ উন্নতি বা উন্নয়নের জন্য তাঁর সঠিক ও নিখুঁত পরিকল্পনা, দূরদৃষ্টি, বিচক্ষণতা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ইত্যাদি যুগ যুগ ধরে বিশেষজ্ঞ ও পণ্ডিতদের মহা-বিস্মিত করে এসেছে।  আধুনিক যুগেও বিশ্ব-ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা হিসেবে মহানবীকে সর্বোচ্চ ও শীর্ষ আসন দিতে বাধ্য হয়েছেন জর্জ বার্নার্ড ‘শ ও মাইকেল এইচ হার্টসহ বহু পশ্চিমা এবং অমুসলিম লেখক।

বিশ্বে যখন মূর্তিপূজা ও কুসংস্কারের ছড়াছড়ি তখন ইসলামের একত্ববাদী চির-উজ্জ্বল মশাল নিয়ে এগিয়ে আসেন বিশ্বনবী। তিনি মানবীয় মর্যাদা, মানবাধিকার ও স্বাধীনতার বিষয়ে উপহার দেন বাস্তব দৃষ্টান্তসহ সর্বোত্তম বক্তব্য। মানবজাতির সবচেয়ে বড় শিক্ষক ও চিকিৎসক মহানবী জানতেন কোন্ কোন্ আধ্যাত্মিক ও মানবীয় রোগের জন্য কোন্ ওষুধ দিতে হবে। বিপদ ও যুদ্ধে ছিলেন তিনি সর্বোচ্চ সাহসী ও ধৈর্যশীল। চরম সংকটেও নীতির প্রশ্নে ও লক্ষ্য অর্জনে থাকতেন পাহাড়ের মত অবিচল।  

বিশ্বনবী (সা) তাঁর শ্রেষ্ঠ চরিত্র ও রেসালাতের আহ্বানের মাধ্যমে বর্বর আরব জাতির মধ্যে আনেন বৈপ্লবিক পরিবর্তন। আরব নও-মুসলিমদের আগের আর পরের চরিত্রের মধ্যে পার্থক্যকে তুলনা করলে তাতে আসমান ও জমিনের মত ব্যবধান দেখা যাবে। যে আরবরা কথায় কথায় সামান্য মতপার্থক্য নিয়ে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ত সেই আরবরাই মুসলমান হওয়ার পর যুদ্ধক্ষেত্রে জখম হয়ে চরম পিপাসায় যখন মৃত্যুর সম্মুখীন হত তখন কেউ তাদের পানি দিতে চাইলে সে বলত: আমার অমুক আহত ভাই সম্ভবত আরো বেশি তৃষ্ণার্ত, তাকে আগে দিন! অন্য আহত আরব মুসলমানও বলতেন একই কথা! 

বর্তমান বিশ্বে  নৈতিকতার যে ভয়াবহ অবক্ষয় তার চিকিৎসা করতে হলে মানব জাতিকে চলতে হবে নবী-মুহাম্মাদের দেখানো পথে। পাশ্চাত্যের লাগামহীন সংস্কৃতি ও অবাধ যৌনাচার ঠেকানোর জন্য পশ্চিমাদেরকে ফিরে আসতে হবে পবিত্র পরিবার ব্যবস্থা রক্ষার দিকে যে পরিবারে মায়ের রয়েছে সর্বোচ্চ মর্যাদা। মহানবী বলেছেন, বেহেশত মায়ের পায়ের নীচে। কোনো ব্যক্তির ওপর পারিবারিক জীবনে সবচেয়ে বেশি অধিকার কার? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন: তোমার মায়ের। আবারও প্রশ্ন করা হল এরপর কার? তিনি আবারও বললেন, তোমার মায়ের।  তৃতীয়বারও একই প্রশ্ন করা হলে তিনি ওই একই উত্তর দেন তৃতীয়বারের মত। এরপর একই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তোমার পিতার। 

বিশ্ব থেকে বর্ণবাদ, উগ্র জাতীয়তাবাদ, সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ, সন্ত্রাসবাদ, ধর্মান্ধতা, শোষণ, বঞ্চনা, কুসংস্কার, নীতিহীন রাজনীতি ও সব ধরনের অন্যায় দূর করতে হলে মানব-জাতিকে আশ্রয় নিতে হবে নবী-মুহাম্মাদের আদর্শের ছায়াতলে। প্রকৃত সাম্য, প্রকৃত গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, নৈতিকতা, মানবাধিকার, পরমত-সহিষ্ণুতা, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি বলুন কিংবা আধ্যাত্মিক উন্নতি বা সংযম বলুন –এ সবই অর্জন করা সম্ভব মহানবীর জীবনাদর্শের অনুসরণে। মহানবীর ধর্ম ইসলাম জীবনের সবক্ষেত্রে- ইহকাল ও পরকাল দুই জগতেরই মুক্তির গ্যারান্টি। 

বস্তুতান্ত্রিক খোদাহীন সমাজবাদ, পুঁজিবাদ বা ধনতন্ত্রের ও পশ্চিমা লিবারেলিজম বা কথিত উদারনৈতিকতা তথা নীতিহীনতার ব্যর্থতার পর মানব জাতি আবারও ইসলামী সভ্যতার উত্থানের জন্য অপেক্ষা করছে অধীর আগ্রহে। ইরানের ইসলামী বিপ্লব বিশ্বব্যাপী সেই সোনালী অধ্যায়ের পটভূমি গড়ে তুলছে প্রকৃত ইসলামকে তুলে ধরে। মহানবীর সেই সংগ্রামী ইসলাম আবারও জেগে উঠছে শাহাদত আর ত্যাগ ও কোরবানির সোনালী পথ বেয়ে।

মানবজাতির সার্বিক মুক্তির যে মিশন নিয়ে একদিন বিশ্বনবীর রেসালাতের যাত্রা শুরু হয়েছিল তাঁর পবিত্র আহলে বাইতের সর্বোচ্চ ত্যাগ ও কুরবানির সংস্কৃতি তথা আশুরা সংস্কৃতির সুবাদে মুসলমানরা আবারও ইসলামের সঠিক ধারায় ফিরে এসে ইমাম মাহদির বিশ্ব-ইসলামী রাষ্ট্রের পটভূমি গড়ার পথ সুগম করবেন এবং আল্লাহর জমিনে প্রকৃত খেলাফত প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হবেন- রাব্বুল আলামিনের দরবারে সেই তৌফিক চেয়ে শেষ করছি মহানবীর রেসালাত প্রাপ্তির বার্ষিকী বা পবিত্র বে’সাত সংক্রান্ত আলোচনা।  পার্সটুডে

captcha