IQNA

টাইমস স্কয়ারে যেভাবে হামলার পরিকল্পনা করেছিল বাংলাদেশি যুবক

22:06 - June 09, 2019
সংবাদ: 2608705
ন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের টাইমস স্কয়ারে হামলা চালানোর জন্য অবৈধ অস্ত্র কেনার অভিযোগে বৃহস্পতিবার এক বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করেছে সেখানকার গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা। পরের দিন তাকে নিউ ইয়র্কের একটি আদালতে হাজির করা হয়।

বার্তা সংস্থা ইকনা: তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে ব্রুকলিনের ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক শেরিল এল পোলক তাকে স্থায়ীভাবে আটক করে রাখার আদেশ দেন, এমনটাই জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

২২ বছর বয়সী আশিকুল আলম টাইমস স্কয়ারে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং সাধারণ নাগরিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার জন্যে অবৈধ অস্ত্র কিনেছিলেন যেগুলোর গায়ের সিরিয়াল নাম্বারগুলো মুছে ফেলা হয়েছিল, একথা আদালতকে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এর্টনি রির্চাড ডনোগহিউ।

কিন্তু আলম জানতেন না যে তিনি অস্ত্রগুলো সরকারি গোয়েন্দাদের কাছ থেকে কিনছেন এবং তার পরিকল্পনা ও গতি-বিধি ‘মনিটর’ করা হচ্ছে, জানান ডনোগহিউ।

তবে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার কোন অভিযোগ আনা হয়নি।

কী জানা যাচ্ছে তার সম্পর্কে?
আশিকুল আলমের বাড়ি বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলায়। অর্ধযুগ আগে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেওয়া মি.আলম সেখানকার জন জে কলেজ অফ ক্রিমিনাল জাস্টিস - এর তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছিলেন বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক লাভলু আনসার।

তার বাবা মোঃ শাহজাহান ম্যানহাটনের একটি ফুড কোর্টের ব্যবসায়ী বলে জানা যাচ্ছে।

কুইন্সের জ্যাকসন হাইটসে যে বাংলাদেশি কমিউনিটি রয়েছে, সেখানকার লোকজনের সাথে তেমন ভালো মেলা-মেশা ছিল না আলমের। তবে এই ঘটনার জের ধরে ওই কমিউনিটির মধ্যে একটা ‘আতঙ্ক’ ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানাচ্ছেন মি. আনসার।

গ্রেপ্তার করতে ১০ মাসের বেশি 'স্টিং অপারেশন'
দেশটির নিরাপত্তা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-এর স্পেশাল এজেন্ট সিন ডিললন এর ফাইল করা অভিযোগপত্রে আলমের পরিকল্পনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

মামলার নথিতে বলা হচ্ছে, নিউ ইয়র্কের কুইন্সে বসবাসরত বাংলাদেশী নাগরিক আলম আমেরিকার এজন বৈধ স্থায়ী অধিবাসী।

নথিতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে আলমের সাথে প্রথমবারের মত দেখা করেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন গোয়েন্দা। পরে এবছরের ৬ই জুন পর্যন্ত নিয়মিত তার সাথে যোগাযোগ রাখতেন তিনি।

তখন মি. আলম ৯/১১ সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলার পক্ষে কথা বলতেন। তিনি অনেকবার কথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএসসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনেরও প্রশংসা করতেন। এমনকি নিউ ইয়র্ক সিটিতে হামলা চালানোর জন্যে বহুবার অস্ত্র, গোলাবারুদ কেনার প্রতি আগ্রহ দেখাতেন আলম।

তাদের মধ্যে সব কথোপকথন রেকর্ড করেছিল নিরাপত্তা বাহিনীর এজেন্টরা।

‘বিন লাদেন নিয়ে আগ্রহ’
নথিতে বলা হচ্ছে, ২০১৮ সালের ১১ই সেপটেম্বর যখন ওই সরকারি গোয়েন্দার সাথে আলমের দেখা হয়, তখন তিনি নাইন ইলেভেনের হামলার জন্যে আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের বিষয়ে আলাপ করেছিলেন।

তিনি বলেছেন, ‘মিশনটা পুরোপুরি সফল, হাজার হাজার আমেরিকান সেনা মারা গিয়েছিল, যুদ্ধের জন্য ট্রিলিয়ন ট্রিলয়ন অর্থ ব্যয় হয়েছিল।’

‘আপনি জানেন, খলিফা তৈরি করা মুসলিমদের দায়িত্ব,’ তখন বলেছিলেন মি. আলম। তদন্ত কর্মকর্তারা এমনটা দাবী করছেন।

তিন দিন পর তিনি আবার দেখা করেন সরকারি ওই গোয়েন্দার সাথে। তখন ওই এজেন্ট তার কাছে জানতে চান বিন লাদেনের স্থলাভিষিক্ত কে হতে পারেন, আলমের উত্তর ছিল: ‘তিনি [বিন লাদেন] তার কাজ করেছেন। তার যেটা করা উচিত ছিল, তিনি সেটা করেছেন। এখন বাকিটা আমাদের উপর।’

‘টাইমস স্কয়ার অথবা ওয়াশিংটন ডিসিতে হামলার পরিকল্পনা’

একই বছরের ২৭শে সেপ্টেম্বর সরকারি ওই গোয়েন্দার সাথে আলাপকালে সুইসাইড ভেস্টের প্রতি আগ্রহ দেখান বলে অভিযোগ আলমের বিরুদ্ধে।

তিনি বলেন, ‘...এটাতে একদম কোন যন্ত্রণা নেই... আপনি একবারেই মারা যাবেন। জেলে মারা যাওয়া থেকে তো ভালো!’

যুক্তরাষ্ট্রের এটর্নি অফিসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রেস রিলিজের সাথে সংযুক্ত নথি অনুযায়ী, ও ছদ্মবেশী গোয়েন্দার সাথে কথোপকথনের একপর্যায় আলম সুইসাইড হামলা চালানোর জন্য দুটি অপশনের কথা বলেন।

একটি হলো - টাইমস স্কয়ারের বড় কোন জনসমাবেশে, অন্যটি হলো - ওয়াশিংটন ডিসিতে একজন সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তাকে হত্যা করা।

হামলার জন্যে ‘রেকি করা’
আদালতে উপস্থাপিত নথি অনুযায়ী, এই বছরের জানুয়ারির শুরুর দিকেই সরকারি গোয়েন্দাকে নিয়ে টাইমস স্কয়ারে রেকি করতে যান আলম। সেখানে গিয়ে তিনি মোবাইল ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ করেছিলেন। বলেছিলেন যে তিনি সম্ভাব্য টার্গেট খুঁজছেন।

পরে ওই গোয়েন্দা তাকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি এরপর কী করতে চান। জবাবে আলম জানান যে তাদের ‘তৈরি হতে হবে। যুদ্ধের মতো - পরিকল্পনা হল, রেকি করাও হল।’

এমনকি আলম জানতে চাইলেন যে টাইমস স্কয়ারের কোন স্থানটাতে হামলা করা যেতে পারে। গোয়েন্দা সদস্য ফাদার ডুফে স্কয়ারকে দেখিয়ে দেওয়ার পর আলম বলেন: ‘আমরা এখানেই হামলা চালাবো। এই স্থানেই।’

ওইদিন আলমকে খুব ‘উত্তেজিত’ দেখাচ্ছিল বলে দাবি করছে এফবিআই।

‘গুলি চালানো শেখা ও অস্ত্র কেনার প্রতি আগ্রহ’
১৬ই জানুয়ারি ওই এজেন্টকে নিয়ে পেনসিলভানিয়ার একটি শুটিং রেঞ্জে যান আলম। যাওয়ার পথে আইএস নিয়ে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমি যুদ্ধ করতে করতে মরতে চাই।’

পরে রেঞ্জের একজন কর্মকর্তা তাদের গুলি চালানো শেখান। এরপর থেকে অস্ত্রের প্রতি আগ্রহ বাড়ে আলমের, অভিযোগ তদন্তকারীদের।

গোয়েন্দা সদস্যের একজন সহযোগীর কাছ থেকে অস্ত্র কেনার ব্যাপারেও তাদের কথা হয়। তখন আশিকুল আলম বলেন, এভাবে অস্ত্র কেনা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হতে পারে এবং আশা করেন যে, ওই সহযোগী কোন পুলিশ সদস্য নন।

অস্ত্র কেনার জন্য তিনি ৫০০ ডলার খরচ করতে রাজি ছিলেন। তখন তিনি ইন্টারনেটেও বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রের দাম দেখছিলেন বলে নথিতে বলা হয়।

সেখান থেকে ফেরার পথে গাড়িতে কিভাবে সফলভাবে অস্ত্র লুকিয়ে রাখা যায় সে ব্যাপারে আলাপ করছিলেন আলম।

‘হামলা সফল হলে আমরা কিংবদন্তী হবো’
পেনসিলভানিয়া থেকে ফেরার চারদিন পর তারা আবার টাইমস স্কয়ারে রেকি করতে গিয়েছিলেন। যাওয়ার পথে এআর-১৫ চালানো শেখা নিয়েও তিনি আগ্রহ দেখান।

টাইমস স্কয়ারে পৌঁছে আশিকুল আলম ৩৬ নং রোড এবং ৬ নং অ্যাভিনিউ থেকে তার মোবাইল ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ করেন।

রেকি করার সময় আলম বলছিলেন যে তারা যদি একটি হামলা সফল করতে পারেন, তবে তারা ‘কিংবদন্তী’ হয়ে যাবেন।

টাইমস স্কয়ারে একটি স্থানকে দেখিয়ে তিনি বলছিলেন, ‘এখানে সবচেয়ে বেশি মানুষ। এটা আরো বেশি ইমপ্যাক্ট তৈরি করবে।’

এরপর ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে তারা হামলার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র কেনার আলাপ চালিয়ে যেতে থাকে।

‘টুইন টাওয়ারে ইসলামের পতাকা দেখতে চাই’
মার্চের ২১ তারিখে গোয়েন্দা সদস্য আশিকুল আলমকে জিজ্ঞাসা করছিলেন যে তিনি কোন বিষয়টাতে সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন।

টুইন টাওয়ার অথবা ইম্পেরিয়াল বিল্ডিং-এ ইসলামের পতাকা উড়তে দেখলে, জবাব ছিল আলমের।

এসময় আগ্নেয়াস্ত্র কেনার বিষয়টি মনে করিয়ে দেন আলম।

তখন মোবাইলের লাউড স্পিকার অন করে ওই গোয়েন্দা সদস্য আর সহযোগীকে ফোন দেন। আসলে তিনিও একজন গোয়েন্দা সদস্য ছিলেন। তিনি জানান যে আলম যে ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র চান তিনি সেটা ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন।

আলম তার সাথে থাকা গোয়েন্দা সদস্যকে জানান যে তিনি একটা ‘গ্লোক ৯এমএম’ পিস্তল চান।

পরবর্তীতে এপ্রিল মাসে তারা আগ্নেয়াস্ত্র কেনার ব্যাপারে দেখা করবেন বলে সিদ্ধান নেন।

১১ই এপ্রিল তারা দেখা করেন। তখন আশিকুল আলম দ্বিতীয় গোয়েন্দাকে জানান যে তিনি দুটি ‘গ্লোক জি ১৯’ সেমি অটোমেটিক পিস্তল কিনতে আগ্রহী। দুটির জন্য তিনি মোট ২,০০০ ডলার দিতে রাজি আছেন।

তিনি জানতে চান যে রাস্তা থেকে বৈধভাবে সেগুলো কেনা যাবে কি-না। জবাবে দ্বিতীয় গোয়েন্দা বলেন, তিনি আরেক তৃতীয় ব্যক্তির কাছ থেকে সেগুলো এনে দিবেন। এবং সেগুলো অবৈধ উপায়ে সংগ্রহ করা হয়েছে।

তখন তারা সিদ্ধান্ত নেন যে রাস্তা থেকে নয়, কোন আবাসিক বাসা-বাড়ি থেকে তারা আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করবেন। কারণ আবাসিক ভবনে সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়া পুলিশ তল্লাশি চালাতে পারবে না।
হামলার জন্য চোখের সার্জারি
এপ্রিলে আলম এবং প্রথম গোয়েন্দা আবারও পেনসিলভানিয়ার শুটিং রেঞ্জে যান। তখন তিনি জানান যে চোখে ল্যাসিক সার্জারি করানোর অ্যাপোয়েন্টমেন্ট নিয়েছেন কয়েক সপ্তাহের মধ্যে।

প্রথম গোয়েন্দা যেন তাকে সেখানে যেতে ও আসতে সাহায্য করেন, সে ব্যাপারেও বলে রাখেন।

কারণ জানতে চাইলে আলম বলেন, ‘ধরুন আমরা হামলার শিকার হলাম, আমার চশমা পড়ে গেল। ভুল করে আপনাকে গুলি করলে কেমন হবে বিষয়টা? আমি কী বলতে চাইছি বোঝাতে পারছি? ধরুন তখন সংবাদ চ্যানেলে আমাকে বলা হবে ‘লুনি টিউনস টেরোরিস্ট’ অথবা ‘ব্লাইন্ড টেরোরিস্ট’।’

প্রথমে বোমা ফাটিয়ে পরে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হবে বলে আশিকুল আলম বলেন।

‘এ বছরটি আমার জন্য বেশ ভালো হতে যাচ্ছে’
এদিকে মে মাসের শুরুতে আগ্নেয়াস্ত্র কেনার ব্যাপারে প্রথম গোয়েন্দার সাথে দেখা করে আলাপ করেন আলম।

তিনি জানতে পারেন যে বন্দুকগুলোর সিরিয়াল নাম্বারগুলো মুছে গিয়েছে। এতে তিনি খুশি হন। পরে একটা ছুটির দিন তারা দেখা করবেন বলেও আলাপ হয়। এসময় আলম বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, এই বছরটি আমার জন্য বেশ ভালো হতে যাচ্ছে।’

পরে তারা ব্রুকলিনে প্রথম গোয়েন্দার বাসায় দেখা করেন। পরে দ্বিতীয় এবং সহযোগী তৃতীয় গোয়েন্দা একটি স্যুটকেস থেকে বের করে তাদের বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র দেখান। এর মধ্যে ছিল, হাত-বন্দুক, একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল এবং হাতবোমা।

আলাপ শেষে তারা বাসা থেকে বের হয়ে যান। তখন আশিকুল আলম প্রথম গোয়েন্দাকে জানান যে তিনি একটি একে-৪৭ কিনতে চান। তিনি জানান, সুইসাইড ভেস্টের অংশ হিসেবে একে-৪৭ কাজে আসবে।

তিনি কিছু গ্রেনেডও কেনারও আগ্রহ দেখান তখন। তিনি বলেন, একটি গ্রেনেডে ‘কমপক্ষে ৮জন মানুষকে মারা সম্ভব।’

বেশ কয়েক দফা বৈঠক শেষে, তারা দুটি ‘গ্লোক পিস্তল’ কিনেন এবং একটি গ্রেনেড কেনার বিষয়েও আলাপ করেন।

গ্রেপ্তারের দিন
এদিকে ৬ই জুন অস্ত্র কেনার অর্থ পরিশোধ করার জন্য তারা সবাই আবারো প্রথম গোয়েন্দার বাসায় হাজির হন। প্রতিটি ‘গ্লোক ১৯’ পিস্তলের জন্য ৪০০ ডলার দেন মি. আলম। সাথে তিনি কিছু গোলাবারুদও পান। এর কোনটিরও সিরিয়াল নাম্বার বোঝা যাচ্ছিল না।

এদিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় গোয়েন্দার কাছে কোন সাইলেন্সার আছে কি-না জানতে চান আলম। তার কেনা অস্ত্র সাইলেন্সারের সাথে ব্যবহার করা যাবে কি-না সেটিও জানতে চান তিনি।

অর্থ পরিশোধ করে সবাইকে ধন্যবাদ দেন আলম। আর তার পরপরই তাকে গ্রেপ্তার করেন গোয়েন্দা দলের সদস্যরা।

এর আগে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরের ব্যস্ততম বাস টার্মিনালে 'সন্ত্রাসী আক্রমণের চেষ্টা'র অভিযোগে আকায়েদ উল্লাহ নামে এক ব্যাক্তিকে আটক করে পুলিশ।

তার বাড়ি ছিল চট্টগ্রামে এবং তিনি একজন মার্কিন নাগরিক। আরটিএনএন

captcha