আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারে মুসলমানদের গনহত্যা এবং রোহিঙ্গা মুসলমানদের জাতিগত নির্মূলের প্রতিবাদে গতকাল (১৭ই জানুয়ারী) পাকিস্তানের মুসলমানের বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।
বার্তা সংস্থা ইকনা: মিয়ানমারে মুসলিম হত্যা এবং সেদেশের সেনাবাহিনীর কার্যক্রমের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে জনবহুল শহর করাচীতে মুসলমানেরা বিক্ষোভ করেছে।
বিক্ষোভকারীরা মিয়ানমারের সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেয় এবং ইংলিশ এবং উর্দুতে লিথিত "রোহিঙ্গারা মুসলমান", "আমাদের ভাইদের হত্যা বন্ধ কর", "শুধুমাত্র মুসলমান হওয়ার জন্য হত্যা করা বন্ধ কর" প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে করাচীর প্রধান সড়কে বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছে।
রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমাজের নিশ্চুপতার কারণে বিক্ষোভকারীরা তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং মিয়ানমারের শাসক ও দেশটির সামরিক নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীর অভিযোগে বিচারের আহ্বান জানিয়েছে।
পাকিস্তানে জনবহুল শহরে সহিংসতা প্রতিরোধের জন্য সেদেশের পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ঘিরে নিরাপত্তা বেষ্টনী গঠন করে।
পাকিস্তানের পুলিশ জনবহুল শহরে সহিংসতা প্রতিরোধের জন্য এবং বিক্ষোভকারীদের নিরাপত্তা প্রদানের তাদেরকে ঘিরে নিরাপত্তা বেষ্টনী ঘটন করেছিল।
উল্লেখ্য, করাচী এবং সেদেশের বেশ কিছু শহরে গত শুক্রবার (১৩ই জানুয়ারি) মুসলমানেরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। সম্প্রতি মিয়ানমারের নৃশংসতার আলোকে প্রকাশিত ফিল্ম কারণের পাকিস্তানের মুসলমানেরা এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। প্রকাশিত ফিল্মে দেখা যায় যে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সেদেশর 'দারুল জেইযার' গ্রামে ৩১ জন নারীকে জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে মারছে। বিক্ষোভকারিরা রোহিঙ্গা মুসলমানদের নিরাপত্তা এবং মুক্ত করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিকট আহ্বান জানিয়েছে।
নবম অক্টোবর সীমান্তরক্ষীদের ওপর হামলার পর থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর
অত্যাচারের পরিমাণ অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। সীমান্তরক্ষীদের ওপর হামলার
ফলে ৯ জন কর্মকর্তা নিহত হয় এবং এসকল পুলিশ অফিসার নিহত হওয়ার জন্য
মিয়ানমারের সরকার সেদেশর সংখ্যালঘু মুসলমানদের দায়ী করেছে। iqna