বার্তা সংস্থা ইকনা: এক শোক বার্তায় সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন, "শহরের প্রাণকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড ও ভবন ধসের বেদনাদায়ক ঘটনা আমাকে মর্মাহত এবং উদ্বিগ্ন করেছে। ফায়ার সার্ভিসের যেসব সদস্য সাহস ও ত্যাগের দৃষ্টান্ত রেখে উদ্ধার কাজ পরিচালনার মতো কঠিন পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছেন তাদের এই ত্যাগ ও সাহস আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে; তাদের কর্ম-প্রচেষ্টার প্রশংসা করছি এবং একইসঙ্গে তাদের জন্য দুঃখ ও উদ্বেগ প্রকাশ করছি।”
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, এই মুহূর্তে প্রথম কাজ হবে যারা ভবন ধসের স্তুপের নিচে চাপা পড়েছেন তাদেরকে উদ্ধার করা এবং দ্বিতীয় কাজ হবে কেন ভবনে আগুন লাগল ও ধসে পড়ল তা তদন্ত করে বের করা। কোনো প্রচারণায় কান না দিয়ে কর্মকর্তাদেরকে তিনি তাদের দায়িত্ব পালন ও প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ড এবং ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি। তিনি দ্রুত এ মর্মান্তিক ঘটনা তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেছেন, দুঃখজনক এ ঘটনার কারণ এবং কাদের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তদন্ত করে চিহ্নিত করতে হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে আহতদের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন।
অগ্নিকাণ্ড ও ভবন ধসের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ইরানের জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. আলী লারিজানি ও অভিভাবক পরিষদের প্রধান আয়াতুল্লাহ জান্নাতি।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) তেহরানের প্লাসকো ভবনে আগুন লাগে এবং ভবনটি ধসে পড়ে। আগুন নেভানোর কাজে নিযুক্ত ফায়ার সার্ভিসের বেশ কিছু সদস্য নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। সম্ভাব্য হতাহতের বিষয়ে নানারকম খবর বের হয়েছে। তবে এখনো হতাহতের নিশ্চিত সংখ্যা পরিষ্কার নয়। এর মধ্যে তেহরানের মেয়র বাকের কলিবফ গতকাল বলেছিলেন, ভবন চাপা পড়ে ফায়ার সার্ভিসের ২০ জন সদস্য মারা গেছেন। পার্সটুডে
iqna