কুরআনিক বৈজ্ঞানিক ব্যক্তিরা প্রতিদিনই এধরণের নতুন অলৌকিক বিষয় আবিষ্কার করছে। এ ধরণের অলৌকিক ঘটনার কারণেই এই ঐশী গ্রন্থের সাথে অন্যান্য সাধারণ গ্রন্থের পার্থক্য রয়েছে। পবিত্র কুরআনে মানুষের জীবনের কোন কিছুকেই অবহেলার চোখে দেখা হয়নি। সকল বিষয়েই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যক্ত করেছে।
সম্প্রতি পবিত্র কুরআনের সূরার সংখ্যার মাধ্যমে বয়স নির্ধারণে পদ্ধতি সামাজিক নেটওয়ার্কে বেশ ছড়িয়ে পরেছে। এই বিষয়টিকে সংখ্যাসূচক অলৌকিক নতুন উদ্ঘাটন হিসাবে উল্লেখ করা হচ্ছে।
পদ্ধতিটা হচ্ছে: পবিত্র কুরআনে মোট সূরার সংখ্যা ১১৪টা। এখন আমাদের যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে, নিজেদের বয়সের সালের শেষের দুই সংখ্যা নিতে হবে। এবার সূরার সংখ্যার সাথে বয়সের সালের শেষ দুই সংখ্যা বিয়োগ করতে হবে। বিয়োগ করার পর যে সংখ্যাটি হাতে আসবে তার সাথে দুই যোগ করতে হবে। তাহলেই বয়সের সংখ্যাটি বের হয়ে আসবে।
উদাহরণস্বরূপ: ১৯৮৭ সালে জন্ম হয়েছে এবং শেষের দুই সংখ্যা হচ্ছে ৮৭। সূরার সংখ্যা তথা ১১৪ সাথে ৮৭ বিয়োগ করার পর দুই যোগ করতে হবে: ১১৪-৮৭+২=২৯।
ফলাফলে দেখা যাবে, ১৯৮৭ সালে জন্ম হলে বর্তমান বয়স ২৯।
এছাড়া বয়স জানা থাকলে ১১৪ সংখ্যার মাধ্যমে জন্ম সালও আপনার হাতে চলে আসবে। পদ্ধতিটা হচ্ছে ১১৪ সংখ্যার সাথে বয়সের বিয়োগ করার পর ২ যোগ করলেই জন্ম সালের সংখ্যা বের হয়ে আসবে। অর্থাৎ বয়স যদি ৩১ হয় তাহলে সূরার সংখ্যার সাথে ৩১ বিয়োগ করার পর ২ যোগ করতে হবে: (১১৪-৩১+২= ৮৫ অর্থাৎ ১৯৮৫ সালে জন্ম হয়েছে।
সামাজিক নেটওয়ার্কে এই বিষয়টি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। আগ্রহী ব্যক্তিমণ্ডলী এর মাধ্যমে অতি সহজেই নিজেদের বয়স এবং জন্ম সাল বের করতে পারবেন।