বার্তা সংস্থা ইকনা: আরএসএসের দাবি, তাদের সংগঠনের কোনো সদস্য ওই ঘটনায় জড়িত নয়। এমনকি তারা এ ধরণের কার্যকলাপে বিশ্বাসী নয় এবং তাদের মতাদর্শও এমন নয়।
২০০৭ সালের ওই বিস্ফোরণ মামলায় এনআইএ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ভবেশ প্যাটেল এবং আরএসএস নেতা দেবেন্দ্র গুপ্তাকে কারাদণ্ড দেয়ার পাশাপাশি দুজনকেই জরিমানা করা হয়েছে। আদালত ভবেশ প্যাটেলকে ১০ হাজার টাকা এবং দেবেন্দ্র গুপ্তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয়। দেবেন্দ্র গুপ্তা আরএসএসের সাবেক কর্মী ছিলেন।
এনআইয়ের চার্জশিটে দেবেন্দ্র গুপ্তাকে মধ্য প্রদেশের মউয়ে আরএসএসের কর্মকর্তা ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়।
অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী জে এস রাণা এনআইএ আদালতের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানোর কথা বলেছেন।
এর আগে চলতি মাসের ১৬ মার্চ বিশেষ আদালতে ওই মামলার শুনানির সময় ডিফেন্স এবং আসামীপক্ষ থেকে ওই দুই অভিযুক্তের সাজা নিয়ে আলাদা আলাদা সাফাই দেয়া হয়। আদালত উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে ২২ মার্চ পর্যন্ত রায় ঘোষণা মুলতুবি রাখে।
ওই মামলায় এনআইএ বিশেষ আদালত ভবেশ প্যাটেল, দেবেন্দ্র গুপ্তা ও সুনীল যোশিকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং অভিযুক্ত ৫ জনকে রেহাই দেয়। আদালত আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমারকে ক্লিনচিট দেয় এবং বহুলালোচিত স্বামী অসীমানন্দকে বেকসুর খালাস করে দেয়। দোষী সাব্যস্ত হওয়া সুনীল যোশির অবশ্য আগেই রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়।
ওই মামলা থেকে অসীমানন্দর পাশাপাশি চন্দ্রশেখর, মুকেশ, ভরত মোহন, লোকেশ শর্মা, মেহুল কুমার এবং হর্ষদ সোলাঙ্কিকে রেহাই দেয়া হয়। অন্যদিকে, সুরেশ নায়ার, সন্দীপ ডাঙ্গে এবং রামচন্দ্রকে পলাতক ঘোষণা করা হয়।
ভারতের আজমীরের প্রসিদ্ধ খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রহ.)’র দরগাহে ২০০৭ সালের ১১ অক্টোবর রমজান মাসে ইফতারের সময় বিস্ফোরণে ৩ পুণ্যার্থী নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছিলেন। সূত্র: parstoday