IQNA

ইসলামী নৈতিকতার দৃষ্টিতে বেশী কথা বলা অপছন্দনীয়

23:26 - March 22, 2017
সংবাদ: 2602765
কথা বলা একজন মানুষের জন্মগত অধিকার। মুখের ব্যবহারে কথা বলে মানুষ। প্রকাশ করে তার মনের ভাব-অভিব্যক্তি। কিন্তু মানুষের এই বাক-শক্তির অপব্যবহার পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে অকল্যাণ বয়ে আনতে পারে। বিপর্যয়ের কারণ ঘটাতে পারে জিহ্বার অবিবেচনা প্রসূত ব্যবহার।

বার্তা সংস্থা ইকনা: কথা বলার ক্ষেত্রে সতর্ক ও সংযমী হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছে। মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) মুখের হেফাজত ও কথাবার্তায় সংযমী হওয়ার ব্যাপারে বেশ গুরুত্ব প্রদান করেছেন। তিনি নিজেও এ ব্যাপারে বেশ সতর্ক থাকতেন।

রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে তার জিহ্বা ও লজ্জা স্থানের সঠিক ব্যবহারের তথা হেফাজতের নিশ্চয়তা দিতে পারবে, আমি তাকে জান্নাতের নিশ্চয়তা দিতে পারব।

রাসুল (সা.) বলেছেন, কোনো ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট নয়, সে যা শুনে তাই (সত্যতা যাচাই না করে) বলে বেড়ায়।

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "নিশ্চয় জান্নাতে বালাখানা থাকবে, যার ভেতরের সবকিছু বাইরে থেকে দেখা যাবে।" একজন বেদুঈন দাড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলো, 'ঐ বালাখানা কাদের জন্য হবে?' রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বললেন: "যারা মিষ্টভাষী হবে, অভাবীদের আহার করাবে, গভীর রাতে যখন মানুষ নিদ্রামগ্ন থাকে তখন যারা নামায পড়ে।"

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি আমার কাছে তার দুই চলায়ের মাঝে যা আছে অর্থাৎ জিহ্বা এবং তার দুই পায়ের মাঝে যা আছে অর্থাৎ লজ্জাস্থানের জিম্মাদারি দিবে আমি তার জন্য জান্নাতের জিম্মাদারি নিবো।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : "যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে সে যেন ভালো কথা বলে অন্যথায় চুপ থাকে। সূত্র:  shabestan
captcha