বার্তা সংস্থা ইকনা: অধীনস্থদের প্রতি দয়াশীলতা, অসহায় ও নিঃস্বদের প্রতি ব্যথিত হওয়া এবং দরিদ্র ও অভাবীদের প্রতি পরম উদারতার ব্যাপারে ইমাম আলী (আ.)-এর জীবনে অসংখ্য ঘটনার অস্তিত্ব বিদ্যমান।
ইমাম আলী (আ.) যা-ই উপার্জন করতেন, তাই অসহায় ও দরিদ্রদেরকে সাহায্যের মাধ্যমে আল্লাহ্র পথে দান করতেন। আর তিনি ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত সহজ সরল ও কষ্টপূর্ণ জীবন যাপন করতেন। ইমাম আলী (আ.) কৃষি কাজকে পছন্দ করতেন। তিনি সাধারণত: পানির নালা কেটে সেচের ব্যবস্থা করতেন। বৃক্ষ রোপণ করতেন। চাষের মাধ্যমে মৃত জমি আবাদ করতেন। কিন্তু পানি সেচের নালা ও আবাদকৃত সব জমিই তিনি দরিদ্রদের জন্যে ‘ওয়াকফ’ (দান) করতেন।
হযরত ইমাম আলী (আ.)-এর পক্ষ থেকে দরিদ্রদের জন্যে ‘ওয়াকফ’কৃত ঐসব সম্পত্তির বার্ষিক গড় আয়ের পরিমাণ ২৪ হাজার সোনার দিনারের সমতুল্য ছিল। তাঁর ঐসব ‘ওয়াকফ্’কৃত সম্পত্তি ‘আলী (আ.)-এর সাদ্কা’নামে খ্যাত ছিল।
আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলীর দৃষ্টিতে গরিব দু:খি মানুষদের মনে শান্তি দান করাটাই হচ্ছে মানুষের সব থেকে বড় ঈদ বা খুশি। তিনি বলেছেন:
وَ قَالَ علی(علیهالسلام) لِکُمَیْلِ بْنِ زِیَادٍ النَّخَعِیِّ: «یَا کُمَیْلُ مُرْ أَهْلَکَ أَنْ یَرُوحُوا فِی کَسْبِ الْمَکَارِمِ وَ یُدْلِجُوا فِی حَاجَةِ مَنْ هُوَ نَائِمٌ فَوَالَّذِی وَسِعَ سَمْعُهُ الأَصْوَاتَ مَا مِنْ أَحَدٍ أَوْدَعَ قَلْباً سُرُوراً إِلا وَ خَلَقَ اللهُ لَـهُ مِنْ ذَلِکَ السُّرُورِ لُطْفاً فَإِذَا نَزَلَتْ بِهِ نَائِبَةٌ جَرَی إِلَیْهَا کَالْمَاءِ فِی انْحِدَارِهِ حَتَّی یَطْرُدَهَا عَنْهُ»
হে কুমাইল! তোমার পরিবারকে দিনে নৈতিকতা অর্জন এবং রাতে অসহায় গরিব দু:খিদের সাহায্য করার প্রতি নির্দেশ দাও। কেই যদি কারও মনকে খুশি করে আল্লাহর সেই খুশিকে তার জন্য রহমত হিসাবে গচ্ছিত রাখেন আর যখন তার উপর কোন বালা-মুসিবত আসার কথা থাকে তখন তিনি সেই রহমত দিয়ে ঐ মুসবিতকে দূর করেন।