মেহমানকে শুধু পর্যাপ্ত আপ্যায়ন করানোর নাম অতিথি পরায়ণতা নয়, বরং সাধ্য অনুযায়ী মেহমানকে আপ্যায়নতো রয়েছে, সেই সাথে প্রফুল্লচিত্তে এবং বিকশিত মনে মেহমানকে গ্রহণ করা ও তার সাথে সম্মানজনক আচরণ করাই হল সত্যিকার অতিথি পরায়ণতা।
বার্তা সংস্থা ইকনা: আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী(আ.) বলেছেন, মেহমানকে সম্মান কর এমনকি যদি সে অতি হীনও হয়ে থাকে।
মহানবী (সা.) বলেছেন, হে আলী! মেহমানকে সম্মান কর যদি সে কাফরেও হয়ে থাকে। তিনি আরও বলেছেন: যদি কোন লোক কোন শহরে প্রবেশ করে সে তার গোত্রের লোকদের মেহমান যতদিন না সেখান থেকে চলে যায়।
ইমাম সাদিক(আ.) বলেছেন: যখন মেহমান আসবে তাকে প্রশ্ন করবে না যে তুমি কি খেয়েছ? বরং যা আছে তাই দিয়ে তাকে ভালভাবে আপ্যায়ন করবে।
মহানবী(সা.) বলেছেন: মেহমান থাকা অবস্থায় মেজবান যেন মোস্তাহাব রোজা না রাখে, কেননা মেজবান রোজা থাকলে মেহমান লজ্জায় খেতে পারবে না।
রাসূল(সা.) ও তার পবিত্র আহলে বাইত খুব বেশী দানশীল এবং অতিথি পরায়ণ ছিলেন এবং তারা মেহমানকে নিজেদের চেয়ে বেশী প্রাধান্য দিতেন।
আর তাদের অতিথি পরায়ণতার কারণেই সূরা ইনসান অবতীর্ণ হয়েছে। সূত্র: shabestan