বার্তা সংস্থা ইকনা: আজ (শনিবার) হত্যার হুমকি পাওয়ার পর পুলিশের কাছে ইমেইল পাঠিয়ে এসএমএসটিসহ লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন সৈয়দ শাহ আতিফ আলি আল-কাদরি।
পরে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, "আজ দুপুরে আমি শ্বশুরবাড়িতে থাকাকালীন একটা এসএমএস আসে। সনু নিগমের বিরুদ্ধে আমি কেন কথা বলেছি, সেই প্রশ্ন তুলে পরিবারসহ আমাকে গুলি করে ঝাঁঝরা করার হুমকি দেয়া হয়েছে। এসএমএস আসার পরেই আমি ওই নম্বরে ফোন করি। প্রথমে কেউ ধরে নি, তারপর যতবারই চেষ্টা করেছি ফোন করতে ততবারই নট রিচেবল জানিয়েছে। কমিশনারের কাছে ইমেইল করেছি ঘটনাটা জানিয়ে।"
রোমান হরফে হিন্দি ভাষায় লেখা হয়েছে ওই এসএমএসটি প্রচলিত একটি গালি দিয়ে শুরু করা হয়েছে।
এসএমএসে লেখা হয়েছে, "হিন্দুস্তানের গর্ব সনু নিগমের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস তোর হলো কী করে? শোন কাদরি, এরপরে যদি সনুর বিরুদ্ধে যদি একটা কথাও বলিস তাহলে তোকে আর তোর পরিবারকে বন্দুকের গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেব। কারও বাবা তোকে বাঁচাতে পারবে না।"
সৈয়দ কাদরি সাংবাদিকদের বলেছেন, ওই হুমকির পরে তার স্ত্রী, শিশু সন্তান এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
গত সোমবার টুইটারে সনু নিগম লেখেন, "সৃষ্টিকর্তা সবার ভালো করুন। আমি মুসলিম না, তা-ও আমাকে আজান শুনে ঘুম থেকে উঠতে হয়। ভারতে কবে এই জোর করে চাপিয়ে দেওয়া ধর্মভার শেষ হবে।"
আরেকটি পোস্টে সনু লেখেন, "মুহাম্মদ (সা.) যখন ইসলাম তৈরি করেছিলেন, তখন তো বিদ্যুৎ ছিল না। তাহলে এডিসনের পর থেকে কেন আমাদের এই কর্কশ শব্দ সহ্য করতে হবে"?’
এরপর থেকে ভারত ও বাংলাদেশে শুরু হয় ব্যাপক প্রতিবাদ। পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু নেতা সৈয়দ আল কাদরি বলেছিলেন- "সনু নিগমকে যে মাথা ন্যাড়া করিয়ে গলায় ছেঁড়া জুতোর মালা পরিয়ে সারা দেশের সব নাগরিকের বাড়িতে ঘোরাতে পারবে, তাকে তিনি দশ লাখ টাকা পুরস্কার দেবেন।"
এরপরই সনু নিগম একজন নাপিতকে দিয়ে নিজের মাথা ন্যাড়া করে ওই টাকা দাবি করেছিলেন। তবে তখন আল কাদরি জানিয়েছিলেন, সনু নিগম শর্তগুলো পুরোপুরি পূরণ করলে তাকে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হবে। টাকা তৈরি আছে। সূত্র: parstoday