বার্তা সংস্থা ইকনা: 'ইবনে কাছির' এবং 'জালালাইন' (এই তাফসিরের গ্রন্থটি জালালা উদ্দীন মাহল্লী এবং তার ছাত্র জালাল উদ্দীন সুয়ুতি এই দুই জন আলেম লিখেছেন এজন্য এই নামকরণ করা হয়েছে) তাফসির অধ্যয়ন করেছি এবং এর অর্থ ভালোভাবে অনুভব করেছি।
তিনি বলেন: আয়াতের অর্থ জানা থাকলে তিলাওয়াত করতে অনেক সহজ হয় এবং ঐ তিলাওয়াতটি শ্রোতাদের মাঝেও প্রভাব বিস্তার করে।
ভারতীয় ক্বারী মুহাম্মদ কাশান বলেন: কুরআন তিলাওয়াত শেখার ক্ষেত্রে আমার পিতা-মাতা এবং শিক্ষক অনেক পরিশ্রম করেছেন। তার যদি আমাকে সাহায্য না করতেন তাহলে আমি সফল হতে পারতাম না।
তিনি বলেন: এর আগে আমি ভারতে জাতীয় কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রথম স্থানের অধিকারী হয়েছি এবং এই প্রথম কোন আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছি।
মুহাম্মাদ কাশান আরও বলেন: ভারতে সরকারী স্কুলে আরবি শিক্ষা দেয়া হয় এবং এটি মুসলিম শিক্ষার্থীদের কুরআন শেখার জন্য অন্যতম সুযোগ।
ভারতে ইরানী ক্বারীর জনপ্রিয়তাইরানী ক্বারী 'হামেদ শাগের নিযাত'-এর প্রতি ইঙ্গিত করে মুহাম্মাদ কাশান বলেন: ভারতীয় ক্বারিদের মধ্যে ইরানী ক্বারিদের জনপ্রিয়তা রয়েছে। আমরা ইরানী ক্বারিদের তিলাওয়াত উপভোগ করি।
মুহাম্মাদ কাশান তার শিক্ষক 'ফারহাদ সুলতান খানে'র স্মরণে বলেন: আমার শিক্ষক ফারহাদ সুলতান খান ২০১৪ সালে ইরানে আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। ঐ প্রতিযোগিতার স্মরণীয় ঘটনাগুলো তিনি সবসময় আমাদেরকে বলেন। আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের নিকট থেকে ইরানের গল্প শুনে ইরানে কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার আকাঙ্ক্ষা আমারও হয় এবং সেই আকাঙ্ক্ষার সূত্র ধরে আমি আজ ইরানে উপস্থিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন: ইরানীরা বিদেশী ক্বারিদের যেভাবে স্বাগত ও আপ্যায়ন করছে তা সত্যিকারেই প্রশংসনীয়। আমি সুন্নী হওয়া সত্ত্বেও আমাকে এখানে এমন ভাবে রাখা হয়েছে যে আমি নিজেকে একা মনে করছি না।
তিনি প্রতিযোগিতার শ্লোগান "এক গ্রন্থ, এক উম্মত" সম্পর্কে বলেন: এই শ্লোগানের অর্থ হচ্ছে ঐক্য এবং ঐক্য অর্থাৎ শিয়া ও সুন্নী মুসলমানদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
উল্লেখ্য, ৩৪তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতা ২০শে এপ্রিলে তেহরানের মুসাল্লায় শুরু হয়েছে এবং টানা ২৬শে এপ্রিল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
iqna