IQNA

জেনে নিন, রাসূলের (সা.) প্রতি দরুদ পাঠের নিয়ম

22:16 - May 20, 2017
সংবাদ: 2603112
কোন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি যদি রাসূল (সা.) ও তার আহলে বাইত তথা বংশধরের প্রতি দরুদ শরীফ পাঠ করে; তাহলে গাছের পাতা যেভাবে ঝড়ে পড়ে সেভাবে তার সমস্ত গুনাহও একে একে ক্ষমা করে দেয়া হবে।
বার্তা সংস্থা ইকনা: রাসূল (সা.) ও তার আহলে বাইতের (আ.) প্রতি দরুদ শরীফ পাঠের অপরিসীম সওয়াব রয়েছে। তাই প্রত্যেক মু’মিন নর-নারীর ঈমানী দায়িত্ব হচ্ছে আল্লাহর প্রদত্ত এ সুবর্ণ সুযোগ থেকে বঞ্চিত না করা। এখানে আমরা দরুদ শরীফ পাঠের সওয়াব সম্পর্কে রাসূল (সা.) বর্ণিত একটি হাদীস পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরছি-

قَالَ النَّبِی صلی الله علیه و آله ذَاتَ یوْمَ لِعَلِی علیه السلام : یا عَلِی أَلا أُبَشِّرُک؟ فَقَالَ: بَلی بِأَبِی أَنْتَ وَ أُمِّی فَإِنَّک لَمْ تَزَلْ مُبَشِّراً بِکلِّ خَیرٍ. فَقَالَ: أَخْبَرَنِی جَبْرَئِیلُ آنِفاً بِالْعَجَبِ قُلْتُ: مَا الَّذِی أَخْبَرَک یا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: أَخْبَرَنِی أَنَّ الرَّجُلَ مِنْ أُمَّتِی إِذَا صَلَّی عَلَی وَ أَتْبَعَ بِالصَّلاةِ عَلَی أَهْلَ بَیتِی فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَ صَلَّتْ عَلَیهِ الْمَلائِکةُ سَبْعِینَ صَلاةً وَ إِنَّهُ لَمُذْنِبٌ خَطَّاءٌ ثُمَّ تَحَاتُّ عَنْهُ الذُّنُوبُ کمَا تَحَاتُّ الْوَرَقُ مِنَ الشَّجَرِ فَیقُولُ اللَّهُ تَبَارَک وَ تَعَالَی: لَبَّیک یا عَبْدِی وَ سَعْدَیک یا مَلائِکتِی أَنْتُمْ تُصَلُّونَ عَلَیهِ سَبْعِینَ صَلاةً وَ أَنَا أُصَلِّی عَلَیهِ سَبْعَمِائَةِ صَلاةٍ فَإِذَا صَلَّی عَلَی وَ لَمْ یتْبِعِ الصَّلاةَ عَلَی أَهْلَ بَیتِی کانَ بَینَهَا وَ بَینَ السَّمَاءِ سَبْعُونَ حِجَاباً وَ یقُولُ اللَّهُ تَبَارَک وَ تَعَالَی لا لَبَّیک یا عَبْدِی وَ لا سَعْدَیک یا مَلائِکتِی لا تُصْعِدُوا دُعَاءَهُ إِلاّ أَنْ یلْحِقَ بِنَبِیی عِتْرَتَهُ فَلا یزَالُ مَحْجُوباً حَتَّی یلْحِقَ (بِی) أَهْلَ بَیتِی.

একদা রাসূলুল্লাহ (সা.) আমিরুল মু’মিনিন আলীকে (আ.) উদ্দেশ্য করে বলেন যে, তুমি কি চাও তোমাকে একটি সুসংবাদ দিব? জবাবে তিনি বলেন: আমার পিতামাতা আপনার প্রতি উৎসর্গ হোক; আপনি সব সময় আমাদেরকে সুসংবাদ দিয়ে ধন্য করেন।

অত:পর রাসূল (সা.) বলেন: এই মাত্র জিবরাইল আমার নিকট এ খবর নিয়ে এসেছে যে, আমার উম্মতের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি দরুদ পাঠকালে আমার আহলে বাইতকেও শামিল করবে; আসমানের দরজাসমূহ তার ইবাদত-বন্দেগী গ্রহণের জন্য উন্মুক্ত হবে। ফেরেশতারা দরুদ পাঠকারীর প্রতি সত্তর বার শান্তি বর্ষণ করবে এবং গাছের পাতা যেভাবে ঝড়ে পড়ে, সেভাবে (দরুদ পাঠকারীর) গুনাহও দূরীভূত হবে। আল্লাহ তার দরুদের জবাবে বলবেন: তোমাকে গ্রহণ করে নিলাম; হে আমার বান্দা।

অত:পর আল্লাহ ফেরেশতাদের উদ্দেশ্যে বলবেন: হে ফেরেশতারা! তোমরা আমার বান্দার প্রতি সত্তরবার শান্তি বর্ষণ করেছ কিন্তু আমি সাত শতবার তার প্রতি শান্তি বর্ষণ করেছি।

এবার রাসূল (সা.) বলেন: কিন্তু যদি শুধুমাত্র আমার প্রতি (আমার আহলে বাইতকে বাদ দিয়ে) দরুদ পাঠ করা হয়; তাহলে তার দোওয়া ও আসমানের মধ্যে সত্তর পর্দার ব্যবধান তৈরি হবে। অর্থাৎ সে দরুদ শরীফ আল্লাহর দরবারে পৌছাবে না।

সূত্র: আমালী, শেখ সাদুক, সওয়াবুল আমাল অধ্যায়, পৃ. ১৫৭।

captcha