IQNA

মুনাজাতে শাবানিয়্যাহ'র গুরুত্ব

22:23 - May 21, 2017
সংবাদ: 2603117
হযরত দাউদ (আ.) নবীগণের (আ.) ইলম ও জ্ঞানের উত্তরাধিকার এবং হযরত সুলাইমান (আ.) হযরত দাউদের (আ.) উত্তরাধিকার। আর হযরত মুহাম্মাদ (সা.) হযরত সুলাইমান (আ.) নবীর উত্তরাধিকার।

শাবিস্তানের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: মুনাজাতে শাবানিয়্যাহ মাসুম ইমাম (আ.) থেকে বর্ণিত অন্যতম অর্থবহ ও তাৎপর্যবহ দোয়া। এ দোয়াতে শাবান মাসের ফজিলত ও গুরুত্বের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এ মাসকে আল্লাহ অন্যান্য মাসের তুলনায় বিশেষ সম্মান ও মর্যাদায় ভূষিত করেছেন।

যেমনভাবে কিছু কিছু স্থানের বিশেষ ফজিলত দেয়া হয়েছে; আমরা যদি সাধারণ ও মদীনার মসজিদুন্নবীতে (সা.) দু'রাকাত নামায আদায় করি, তাহলে সাধারণ কোন মসজিদে নামায আদায়ের তুলনায় মসজিদুন্নবীতে (সা.) দু'রাকাত নামায আদায় ১০ গুন বেশি সওয়া পাওয়া যাবে।

বিশিষ্ট ইসলামী গবেষক ও চিন্তাবিদ হযরত হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন আলী শাহ আলী জাদেহ সালওয়াতে শাবানিয়্যাহ'র পাঠের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে বলেন:  রাসূল (সা.) ও তার পবিত্র বংশধরের প্রতি দরুদ পাঠ মানুষের গুনাহসমূহকে পরিচ্ছন্ন করে। এমনকি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, কেউ যদি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে, তাহলে প্রার্থনার শুরু ও শেষে দরুদ শরীফ পাঠ করলে, উক্ত প্রার্থনা আল্লাহর দরবারে কবুল হয়।

তিনি বলেন: মুনাজাতে শাবানিয়্যাহ'র শুরুতে রাসূলের (সা.) আহলে বাইতকে (আ.) শাজারাতুন্নবুয়্যাহ তথা নবুয়্যাতের বৃক্ষ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। অবশ্য এ ধরনের উপমা পবিত্র কোরআনেও বহু আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। কালেমায়ে তাইয়েবাহকে সাজারায়ে তাইয়েবাহ তথা পবিত্র বৃক্ষ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সুতরাং হযরত আদম (আ.) থেকে সর্বশেষ নবী ও রাসূলকে (সা.) একটি বৃক্ষের সাথে তুলনা করলে উক্ত বৃক্ষের মূল হলেন রাসূলে খোদা (সা.) অর্থাৎ সমস্ত নবী ও রাসূলের মধ্যে যে সব বৈশিষ্ট্য আছে সেগুলোর সবই হযরত মুহাম্মাদের (সা.) মধ্যে আছে। এ কারণেই হযরত সুলাইমান (আ.) সহ সব নবীর বৈশিষ্ট্যের উত্তরাধিকার হিসেবে হযরত মুহাম্মাদকেই (সা.) উল্লেখ করা হয়েছে।
ট্যাগ্সসমূহ: হযরত ، দাউদ ، ইকনা ، ইমাম
captcha