নৈতিকতার গুরুত্ব এতটাই বেশী যে মহানবী সব কিছুর উর্দ্ধে তার স্থা নদেয়ছেন।
নৈতিকতা হলো ব্যক্তির মৌলিক মানবীয় গুণ এবং জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ, যা অর্জন করলে তার জীবন সুন্দর ও উন্নত হয়। এর মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন অন্যায়, অপকর্ম, যথা: সুদ-ঘুষ, প্রতারণা, খুন, রাহাজানি, হানাহানি ইত্যাদি কাজ থেকে বিরত থাকতে পারে। নৈতিক ও চরিত্রহীন মানুষ চতুষ্পদ জন্তুর চেয়েও নিকৃষ্ট।
মহান আল্লাহ বলেন: যাদের হৃদয় আছে উপলব্ধি করে না, চোখ আছে দেখে না, কান আছে শুনে না, এরা হলো চতুষ্পদ জন্তুর মতো ববং তার থেকেও নিকৃষ্ট। আর এরাই হলো গাফিল। (সূরা আরাফ- ১৭৯)
নৈতিকতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) সর্বোত্তম মানুষ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তি উত্তম, যার চরিত্র উত্তম।
ইসলামী সমাজব্যবস্থায় নৈতিকতার গুরুত্ব অপরিসীম। রসুল (সা.) বলেন, আমি মহান নৈতিক গুণাবলিকে পরিপূর্ণতা দান করার জন্যই প্রেরিত হয়েছি।
আমাদের সামগ্রিক সমাজব্যবস্থায় জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে নৈতিকতার প্রতিফলন
ঘটাতে হবে। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, নৈতিকতার বিচারে যে লোকটি উত্তম
মুমিনদের মধ্যে সেই পূর্ণ ইমানের অধিকারী। সূত্র: শাবিস্তান