IQNA

ইমাম মাহদীর(আ.) প্রতীক্ষিত সমাজের নেতাদের কেমন হওয়া উচিত

22:28 - May 21, 2017
সংবাদ: 2603120
যুবুর-এ এই সুসংবাদ লিখিত আছে যে, যারা খোদার এবাদত করে এবং সৎকর্মপরায়ণ হয় তারা জানুক যে, সৎকর্মের প্রতিদান শুধু পরকালের জন্যই নির্দিষ্ট নয়। বরং দুনিয়াতেও খোদা এরূপ মানুষের রাজত্ব ও শাসন ক্ষমতা প্রদান করেন। তবে বাহ্যত, নির্দেশটি সেই আমলের জন্য বিশেষত্ব ছিল।

বার্তা সংস্থা ইকনা:  ইমাম বাকির(আ.) এই যোগ্য ব্যক্তিদের সম্পর্কে বলেছেন: «هُمْ‏ أَصْحَابُ‏ الْمَهْدِیِ‏ فِی آخِرِ الزَّمَانِ» তারা হচ্ছেন শেষ জামানায় ইমাম মাহদীর রাষ্ট্রের কর্মকর্তা ও পরিচালক। সংতরাং এই হাদিস থেকেও প্রমাণিত হয় যে জমিনের উত্তরাধিকারী হওয়ার সব থেকে বড় মানদণ্ড হচ্ছে যোগ্য ও সতকর্মশীল হওয়া।

ইমাম মাহদীর সৈন্য হওয়া অতি সৌভাগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ। আর এ জন্যই তার সাথীদের যোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ হওয়ার থেকে আধ্যাত্মিক ও চরিত্রবান হওয়া বেশী গুরুত্বপূর্ণ।

একটি হুকুমতের প্রধান ভিত্তি হচ্ছে তার কর্মীরা। একটি প্রশাসনের কর্মচারিরা যদি যোগ্য হয় তাহলে দেশের সকল কর্ম সঠিকভাবে পরিচালিত হবে একং উদ্দেশ্যে উপণীত হওয়া সহজতর হবে।

ইমাম মাহ্দী (আ.) বিশ্বের নেতা হিসাবে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের জন্য যোগ্য পরিচালক বা গভর্ণর নিয়োগ করবেন। যাদের মধ্যে একজন ইসলামী নেতার সকল বৈশিষ্ট্য যেমন: জ্ঞান, প্রতিজ্ঞা, নিয়ত, আমল এবং বলিষ্ঠ সিন্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকবে। তাছাড়াও ইমাম মাহ্দী (আ.) সমগ্র বিশ্বের নেতা হিসাবে সবর্দা তাদের কাজের উপর দৃষ্টি রাখবেন এবং তাদের কাছে হিসাব নিবেন। এই প্রধান বৈশিষ্ট্য যা ইমাম মাহ্দীর (আ.) হুকুমতের পূর্বে সকলেই ভুলে গিয়েছিল হাদীসে তা ইমাম মাহ্দীর (আ.) পরিচয় হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

রাসূল (সা.) বলেছেন: ইামাম মাহ্দীর চিহ্ন হচ্ছে কর্মচারিদের কাজে কড়া নজর রাখবেন। অধিক দান-খয়রাত করবেন এবং মিসকিনদের প্রতি অতি দয়ালূ হবেন।ইমাম জাফর সাদিক(আ.) বলেছেন: তারা হচ্ছে নুরানি বাতি আর তাদের অন্তর নুরানি এবং কাচের মত সচ্ছ।

ইমাম আলী(আ.) বলেছেন: :«رجالٌ مؤمنونَ عَرَفُوا اللهَ حقَّ معرِفَتهِ و هم أنصارُ المهدی في آخرِ الزمان »؛  তারা আল্লাহকে যেভাবে চেনা উচিত ঠিক সেভাবেই চিনেছে এবং তারা ইমাম মাহদীর সৈন্য হবেন। সূত্র্র: শাবিস্তান

captcha