IQNA

কাবা ঘরের স্থানে পৃথিবীর প্রথম শুষ্ক ভূখণ্ড জেগে ওঠে আজ

23:04 - August 18, 2017
সংবাদ: 2603653
আজ হতে হাজার হাজার বছর আগে ঠিক আজকের দিনটিতে তথা ২৫শে জিলকদ তারিখে মহান আল্লাহর নির্দেশে পৃথিবী নামক গ্রহের মহাসাগর থেকে শুষ্ক ভূখণ্ডের প্রথম অংশটুকু জেগে উঠেছিল। এ ছাড়াও এই দিনটি ইসলামী বর্ণনামতে হযরত ইব্রাহিম ও ঈসা (আ)'র পবিত্র জন্মদিন।

বার্তা সংস্থা ইকনা: এর আগে পৃথিবীর উপরিভাগের সব ভূখণ্ডই ছিল পানির নীচে।  শুষ্ক ভূখণ্ডের যে অংশটুকু সর্বপ্রথম জেগে উঠেছিল সেটাই ছিল পবিত্র কাবা ঘরের স্থান তথা বিশ্বের মুসলমানদের  নামাজ পড়ার কিবলা। এরপর ধীরে ধীরে আরও ভূমি জেগে উঠতে থাকে এবং গড়ে ওঠে নানা মহাদেশ, দ্বীপ ও উপদ্বীপ। কাবা-ঘরের স্থানটিকে পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল বলে উল্লেখ করেছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।

আজকের এই দিনটি ইসলামী বর্ণনায় ‘দাহল আরদ’ (ভূমির উন্মেষ ও বিস্তৃতি) নামে পরিচিত। কোনো কোনো ইসলামী বর্ণনা অনুযায়ী এই দিনে আবির্ভূত হবেন মানবতার শেষ ত্রাণকর্তা ও বিশ্বনবী (সা.)’র শেষ উত্তরসূরি তথা বিশ্বনবী (সা.)’র আহলে বাইতের  (নিষ্পাপ বংশধারার) সর্বশেষ সদস্য হযরত ইমাম মাহদী (আ.)। তিনি সারা বিশ্বে ইসলামী হুকুমাত ও পরিপূর্ণ ন্যায়বিচার-ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবেন।

এ দিনে অনেক মুসলমান নফল রোজা পালনসহ বিশেষ ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

কোনো কোনো বর্ণনা অনুযায়ী আজ হতে চার হাজার চন্দ্রবছর আগে এই দিনের প্রাক্কালে মসোপটেমিয়া বা প্রাচীন ইরাক অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন হযরত ইব্রাহিম (আ.)। তিনি শীর্ষস্থানীয় ৫ জন রাসুলের অন্যতম। হযরত ইব্রাহিম (আ.)-কে পবিত্র কুরআনে মিল্লাত বা জাতি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।  

কোনো কোনো বর্ণনা অনুযায়ী আজ হতে দুই হাজার ৭১ চন্দ্রবছর আগে এই দিনের প্রাক্কালে জন্মগ্রহণ করেন হযরত ঈসা (আ.)। পিতা ছাড়াই হযরত মারিয়াম (সালামুল্লাহি আলাইহা)'র গর্ভে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি মহান আল্লাহর ইচ্ছায়। হযরত ঈসা (আ.) ও শীর্ষ ৫ জন রাসুলের অন্যতম। হযরত নুহ, হযরত মুসা (আ.) এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল হযরত মুহাম্মাদ সা.) এই ৫ জনের অন্যতম। হযরত ঈসা (আ.) শেষ নবী ও রাসুল মুহাম্মাদ (সা.)'র আবির্ভাবের সুসংবাদ দিয়ে গিয়েছিলেন। এ বিষয়টি উল্লেখিত হয়েছে পবিত্র কুরআনের সুরা সাফের ৬ নম্বর আয়াতে। এ ছাড়াও প্রাচীন বাইবেল 'গসপেল অফ সেন্ট জোহন'-এ এবং বার্নাবাসের বাইবেলে ওই সুসংবাদের কথা এসেছে যদিও বাইবেলের বেশিরভাগ অংশই বিকৃত করা হয়েছে।

এ গুরুত্বপূর্ণ দিবসে বেশ কিছু আমল রয়েছে, যেগুলো পালন করলে অত্যন্ত সওয়াবের অধিকারী হওয়া যায়, এই আমলগুলো হলো:

১। রোজা রাখা; যার সওয়াব সত্তর বছর রোজা রাখা ও ইবাদতের সমতুল্য।

২। দাহউল আরদ্বের রাত্রি জেগে থাকা; অর্থাৎ ২৪শে জিলক্বদের দিবাগত রাত্র জেগে থাকা ও ইবাদত করা। এর সওয়াব এক বছর ইবাদতের সমান।

৩। বিভিন্ন দোয়া ও যিকির পড়া।

৪। দাহউল আরদ্বের নিয়তে গোসল করা ও এ দিবসের বিশেষ নামায আদায় করা। নামাজটি যোহরের পূর্বেই আদায় করতে হবে,

৫। দুই রাকাত নামাজ, প্রতি রাকাতে সূরা হামদের পর ৫ বার সূরা শামস পড়া। নামাজ শেষে لا حَوْلَ وَلا قُوَّةَ إِلا بِاللَّهِ الْعَلِیِّ الْعَظِیمِ، লা হাওয়া ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিউল আযীম পাঠ করা।

সূরা শামস:

بِسمِ اللَّهِ الرَّحمـٰنِ الرَّحیمِ

وَالشَّمْسِ وَضُحَاهَا ﴿١﴾ وَالْقَمَرِ اِذَا تَلَاهَا ﴿٢﴾ وَالنَّهَارِ اِذَا جَلَّاهَا ﴿٣﴾ وَاللَّیْلِ اِذَا یَغْشَاهَا ﴿٤﴾ وَالسَّمَآءِ وَمَا بَنَاهَا ﴿٥﴾ وَالْاَرْضِ وَمَا طَحَاهَا ﴿٦﴾ وَنَفْسٍ وَمَا سَوَّاهَا ﴿٧﴾ فَاَلْهَمَهَا فُجُورَهَا وَتَقْوَاهَا ﴿٨﴾ قَدْ اَفْلَحَ مَن زَکَّاهَا ﴿٩﴾ وَقَدْ خَابَ مَن دَسَّاهَا ﴿١٠﴾ کَذَّبَتْ ثَمُودُ بِطَغْوَاهَا ﴿١١﴾ اِذِ انبَعَثَ اَشْقَاهَا ﴿١٢﴾ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّـهِ نَاقَةَ اللَّـهِ وَسُقْیَاهَا ﴿١٣﴾ فَکَذَّبُوهُ فَعَقَرُوهَا فَدَمْدَمَ عَلَیْهِمْ رَبُّهُم بِذَنبِهِمْ فَسَوَّاهَا ﴿١٤﴾ وَلَا یَخَافُ عُقْبَاهَا ﴿١٥﴾

৬। এই দোয়াটি পাঠ করা: «یَا مُقِیلَ الْعَثَرَاتِ أَقِلْنِی عَثْرَتِی یَا مُجِیبَ الدَّعَوَاتِ أَجِبْ دَعْوَتِی یَا سَامِعَ الْأَصْوَاتِ اسْمَعْ صَوْتِی وَ ارْحَمْنِی وَ تَجَاوَزْ عَنْ سَیِّئَاتِی وَ مَا عِنْدِی یَا ذَا الْجَلالِ وَ الْإِکْرَامِ» .

৭। এই
captcha