বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: আমরা আজ যে সময়টাতে উপনীত হয়েছি তখন আমরা
মুসলমানরা ব্যক্তিগত এবং জাতিগতভাবেই আমাদের পরিচয় ভুলে গেছি। প্রকট
আত্মপরিচয়হীনতা এবং আদর্শশূন্যতা আমাদের গ্রাস করে ফেলছে। আমরা আধ্যাত্মিক
সত্তাকে হারিয়ে ফেলে ভোগবাদী ইন্দ্রিয়সর্বস্ব মানুষ পরিচয়ে বেড়ে উঠছি।
কিন্তু দিন শেষে না পারছি ভোগবাদিতায় পাশ্চাত্যকে টেক্কা দিতে আর না পারছি
বস্তুগত সুখ অর্জন করতে।
রাসূল (সা.)-এর ওফাতের অল্প কিছুদিন পরই
মিল্লাতে মুহাম্মাদি একই রাহুগ্রাসের সম্মুখীন হয় তখনই ত্রাতা হিসেবে এগিয়ে
আসেন আখেরি নবীর কনিষ্ঠ দৌহিত্র ইমাম হুসাইন (আ.)। আত্মপরিচয়হীন মিল্লাত,
স্বৈরাচারী পুঁজিবাদী শাসকশ্রেণি আর ইন্দ্রিয়সর্বস্ব আলেমশ্রেণির সামনে
দাঁড়িয়ে কারবালার প্রান্তরে মহররমের ১০ তারিখ নিজের ৬ মাসের পুত্র আলী
আসগার, নিকটতম আত্মীয় এবং মুষ্টিমেয় সঙ্গী সাথে নিয়ে কারবালার ময়দানে
শাহাদাতবরণ করেন এবং আদর্শহীন ঘুমন্ত উম্মতে মুহাম্মাদীর উদ্দেশ্যে এই
বাণীই রেখে যান যে, "জাগো! সাক্ষ্য দাও- স্বৈরাচার, পুঁজিবাদ, অনাচার,
অযাচার, ভণ্ডামি, অজ্ঞতার বিরুদ্ধে এবং তাওহীদ ও রিসালাতের পক্ষে।
কারবালার
সংগ্রাম ছিল ইমাম হুসাইন নামের এক মহান শিল্পীর দক্ষ হাতের তুলির ছোঁয়ায়
আঁকা একটা অনবদ্য চিত্র। ইমাম এবং তাঁর আহলপুরিদের জীবনপরিচয়, অবদান,
মজলুমিয়াত নিয়ে অনেক লেখা হয়েছে এবং কলমের কালি সব ফুরিয়ে ফেললেও তাঁদের
অবদানের সঠিক মূল্যায়ন আমরা করতে পারব না। শাবিস্তান