বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: রাসূলের (সা.) পবিত্র আহলে বাইতের পবিত্র সদস্যদের মধ্যে ইমাম হুসাইন (আ.) এক ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। এ মহান ইমামের (আ.) জিয়ারতের জন্য অন্যান্য মাসুম ইমামগণ অত্যধিক গুরুত্বারোপ করেছেন। জিয়ারতে আশুরা হচ্ছে ইমাম হুসাইনের (আ.) অন্যতম জিয়ারত; যা এক আধ্যাত্মিক ভক্তি ও ভালবাসার অতুলনীয় স্বারক। এ জিয়ারতের অংশ বিশেষে উল্লেখ করা হয়েছে,
"یَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ إِنِّی أَتَقَرَّبُ إِلَى اللَّهِ وَ إِلَى رَسُولِهِ وَ إِلَى أَمِیرِ الْمُؤْمِنِینَ وَ إِلَى فَاطِمَةَ وَ إِلَى الْحَسَنِ وَ إِلَیْكَ بِمُوَالاتِكَ
অর্থাৎ হে ইমাম হুসাইন! আমরা আপনাকে ওসিলা দিয়ে মহান আল্লাহ, রাসূল, ইমাম আলী, ফাতেমা যাহরা, ইমাম হাসানের (আ.) নৈকট্য কামনা করি।
আমাদের মাসুম ইমামগণ (আ.) আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ ক্ষমতা বলে মক্কা, মদিনা কিংবা অন্যান্য কোন শহর হতে মাত্র কয়েক মুহূর্তে ইরাকের কারবালা নগরীতে উপস্থিত হয়ে ইমাম হুসাইনের (আ.) পবিত্র মাজার জিয়ারত করতেন তার পর তারা সেখান থেকে মদিনায় রাসুলের (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করতেন।
ইমাম হুসাইনের (আ.) জিয়ারত মানুষকে দুনিয়ার চাকচিক্যকে পরিহার করে এক আধ্যাত্মিক জগতে প্রবেশের সুযোগ করে দেয়। এ মহান ইমামের (আ.) জিয়ারত মানুষকে খোদামুখী করে এবং ইসলাম ও কুরআনের সাথে সুগভীর সম্পর্ক গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ করে।