বার্তা সংস্থা ইকনা: আগামী ৪ নভেম্বর (ফার্সী ১৩ অবন) ইরানি জনগণ যখন বিশ্বের বলদর্পী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জাতীয় দিবস পালন করতে যাচ্ছে তখন তেহরানে একদল শিক্ষার্থীর সমাবেশে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী এ মন্তব্য করেন।
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, "সম্প্রতি আপনারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য শুনেছেন। তিনি ইরানি জাতিকে সন্ত্রাসী বলেছেন। আপনারা নিজেরাই দেখতে পাচ্ছেন তার বক্তব্য কতটা বোকামিপূর্ণ? তিনি গোটা একটি জাতিকে সন্ত্রাসী বলেছেন। তিনি কিন্তু শুধু ইরানিদের নেতাদেরকে সন্ত্রাসী বলছেন না।" আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী প্রশ্ন করেন, গোটা ইরানি জাতিকে সন্ত্রাসী বলা কি ওয়াশিংটনের বিদ্বেষী আচরণ নয়?
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী
সর্বোচ্চ নেতা আরো বলেন, ট্রাম্পের বোকামিপূর্ণ মন্তব্যের মাধ্যমে এটা স্পষ্ট হচ্ছে যে, মার্কিনীরা কেবল ইরানি নেতৃত্ব ও সরকারের প্রতি নয় বরং তারা ওয়াশিংটনের ধ্বংসাত্মক নীতির বিরুদ্ধে শুরু থেকেই নিরলসভাবে লড়াই চালিয়ে আসা গোটা ইরানি জনগণের বিরুদ্ধে বিদ্বেষী এবং শত্রুতামূলক আচরণ প্রদর্শন করে আসছে।
ইরানি জনগণের মাঝে সর্বোচ্চ নেতার বক্তব্য
যেকোনো জাতীয় লক্ষ্য পূরণের প্রধান শর্ত হচ্ছে শত্রুকে চিহ্নিত করা- এ কথা উল্লেখ করে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, "বর্তমান বিশ্বের বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকাই দুষ্টু শত্রু। কোনো ধরনের কুসংস্কার এবং হতাশা থেকে নয়; বরং বিশ্বে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনাবলী এবং বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে আমেরিকাকে দুষ্টু চক্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।"
ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে স্বাক্ষরিত ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিতে মার্কিন হুমকি সম্পর্কে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, পরমাণু সমঝোতা পত্র বা জেসিপিওএ'র ফলাফল বানচালে আমেরিকা এখন চরম ধ্বংসাত্বক পদক্ষেপ গ্রহণে লিপ্ত রয়েছে।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়েী সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আমেরিকার সঙ্গে কোনো ধরনের আপোষে গেলে দেশটি আরো বেশি আগ্রাসী হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, শক্ত প্রতিরোধই আমেরিকাকে মোকাবেলার একমাত্র উপায়।
iqna