IQNA

কেন প্রতিবাদের শক্তি হারাচ্ছে আরব?

14:25 - December 14, 2017
সংবাদ: 2604551
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ফিলিস্তিনিরা। বিশ্বের দেশে দেশে মুসলমানেরাও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, নিন্দা জানাচ্ছেন। তবে এই প্রতিবাদ আরো জোরালো হতে পারতো।



বার্তা সংস্থা ইকনা: ফিলিস্তিনিদের ইসরাইলের সেনাদের মুখোমুখি হওয়া, সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেয়া এসব হয়েছে। তবে তা’সব মুসলিম দেশগুলোতে দূরে থাক মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও সর্বোচ্চ পর্যা য় থেকে জোরালোভাবে প্রতিবাদ হয়নি।

ফিলিস্তিনিরা আহত হবে, নিহত হবে অথচ আরব দেশগুলোতে তুমুল প্রতিবাদ হবে না এটা বেমানান। অথচ কয়েক দশক ধরেই জেরুসালেমসহ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ইস্যুতে আরববিশ্ব ঐক্যবদ্ধভাবে শক্তিশালী ভুমিকা রেখেছে। ইতোপূর্বে অনেক বাদশা ও শাসকরা জেরুসালেমের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন, ইমাম ও আলেমরা প্রার্থনা করেছিলেন, বিক্ষোভকারীরাও মৃত্যুকে হাসিমুখে বরণ করেছিলেন, বিশ্ব জনমত গঠনে প্রচারণা চালিয়েছিলেন, টেলিভিশন ও খবরের শিরোনাম হয়েছিল শহরটি।

জেরুসালেম ইস্যুতে এখনো নিন্দা হচ্ছে, বিবৃতি দেয়া হচ্ছে কিন্তু সোচ্চার কণ্ঠে নিন্দা জানানোর পাশাপাশি ভূমিকা রাখতে মাঠে দেখা যাচ্ছে না আগের মতো। খোদ জেরুজালেমেই ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ উল্লেখযোগ্য ছিল না। আরব নেতারা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কথা বলা অব্যাহত রাখলেও বাস্তবে তাদের কাছে এর গুরুত্ব কমে গেছে বিভিন্ন কারণে।

আরব বসন্ত, ইরাক-সিরিয়া-ইয়েমেনের যুদ্ধ, ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর হুমকি, আঞ্চলিক আধিপত্য নিয়ে ইরান ও সৌদি আরবের দ্বন্দ্ব। এক সময় ফিলিস্তিনিদের ক্ষোভে সবচেয়ে বেশি সংহতি দেখানো হতো মিসরে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির শাসনামলে তা কমে গেছে। জনগণ এখন আর বিক্ষোভে আগের মতো সাহস পায় না। - আটলান্টিক, নিউ ইয়র্ক টাইমস

captcha