IQNA

‘চাকরির জন্য হিজাব খুলে ফেলার প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিলাম’

14:41 - January 16, 2018
সংবাদ: 2604805
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুসলিম ও কৃষ্ণাঙ্গদের টারগেট করে ক্রমবর্ধমান ঘৃণা অপরাধের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলীয় মুসলিম অধিকার কর্মী ইনাজ জানিফ। শিশুদেরকেও বর্ণবাদ ও অপব্যবহারের লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

 ‘চাকরির জন্য হিজাব খুলে ফেলার প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিলাম’
বার্তা সংস্থা ইকনা: সম্প্রতি অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম ‘এসবিএস’কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ইনাজ জানিফ বলেন, ‘আমার অনেক বন্ধুদের আক্রমন করা হয়েছে। অনেক বন্ধুদের রাস্তায় পেছন থেকে তাড়িয়ে নেয়া হয়েছে। অনেক বন্ধুর মাথা থেকে হিজাব প্রকাশ্যে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে।’

সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১০ বছর আগের তুলনায় দেশটিতে বর্ণবাদের ঘটনা অনেক বেড়েছে।

স্ক্যানলোন ফাউন্ডেশনের ‘সামাজিক সংহতি’ শীর্ষক জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, ত্বকের রঙ, জাতিগত উত্স বা ধর্মের কারণে অনেক লোক বৈষম্যের সম্মুখীন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। ২০০৭ সালে এই বৈষম্যের হার ছিল ৯ শতাংশ। ২০১৭ সালে এসে তা দাঁড়িয়েছে ২০ শতাংশে।

জড়িপের এই ফলাফল জানিফকে আশ্চর্য করেনি। কেননা কিশোরী বয়স থেকেই জানিফকে এই ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে।

১৮ বছর বয়সে প্রথম চাকরির সাক্ষাতকারে তাকে বলা হয়েছিল, ‘তাদের কোম্পানিতে চাকরি করতে হলে তাকে হিজাব খুলতে হবে।’

ভিক্টোরিয়ান ভিত্তিক এই শিক্ষক ও মুসলিম প্রবক্তা এসবিএস নিউজকে বলেন, ‘এরকম পরিস্থিতিতে কি করা উচিৎ তা ১৮ বছর বয়সী একজন তরুণীর জন্য সত্যিই কঠিন ছিল বলে আমি মনে করি।’

তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমি আামর নিজের বিশ্বাসে অটল ছিলাম। আমি তাদের বলেছিলাম, আমার মাথায় থাকা এক টুকরো কাপড় আমার যোগ্যতাকে কমিয়ে দিবে না।’

বয়স্কদের দ্বারা মুসলিম টিনেজারদের নির্যাতনের বিষয়টি লক্ষ্য করে জানিফ বর্ণবাদের বিরুদ্ধে তার লড়াই চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

জানিফ বলেন, ‘এটি একটি সংকেত যে তরুণরা সহিংসতা এবং ঘৃণাকে গ্রহণ করছে এবং এটা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয় এবং এর বিরুদ্ধে সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত।’

তিনি জানান যে, শিশুদের লক্ষ্য করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনি ইসলামফোবিক পোস্টার দেখতে পেয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘শিশুদের নিয়ে বর্ণবাদী আচরণ করা উচিৎ নয়। শিশুদেরকে ঘৃণা অপরাধের বাইরে রাখার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি আমি।’ আরটিএনএন

captcha