বার্তা সংস্থা ইকনা: এ মোনাজাতে দেশি-বিদেশি লাখ লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তাবলিগ জামাত বরাবরের মতো এবারো টঙ্গীর তুরাগ তীরে ইজতেমার আয়োজন করে।
বিশ্বের মুসলিম উম্মার সুখ, শান্তি, কল্যাণ, অগ্রগতি, ভ্রাতৃত্ববোধ ও মঙ্গল কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে চলতি বছরের ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমা।
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব গত ১২ জানুয়ারি শুক্রবার বাদ ফজর শুরু হয়েছে এবং ১৪ই জানুয়ারি শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্ব গতকাল ১৯শে জানুয়ারি শুরু হয়েছে এবং আগামীকাল আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।
১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রতি বছর এই সমাবেশ নিয়মিত আয়োজিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে ঢাকার রমনা পার্কসংলগ্ন কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের বার্ষিক সম্মেলন বা ইজতেমা প্রথম অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রামে তৎকালীন হাজি ক্যাম্পে ইজতেমা হয়, ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। তখন এটা কেবল ইজতেমা হিসেবে পরিচিত ছিল। প্রতিবছর ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে টঙ্গীর পাগার গ্রামের খোলা মাঠে ইজতেমার আয়োজন করা হয়। ওই বছর স্বাগতিক বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নেওয়ায় ‘বিশ্ব ইজতেমা’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে বর্তমান অবধি ‘বিশ্ব ইজতেমা’ টঙ্গীর কহর দরিয়াখ্যাত তুরাগ নদের উত্তর-পূর্ব তীরসংলগ্ন রাজউকের হুকুমদখলকৃত ১৬০ একর জায়গার বিশাল খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ জানান, দেশি-বিদেশি মুসল্লিদের নিরাপত্তায় প্রতিটি খিত্তায় সাদা পোশাকে ৬ জন করে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া পুরো ইজতেমা ময়দান আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে পুরো ইজতেমা ময়দানকে ৮ স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, প্রায় সাড়ে ৭ হাজার পুলিশ ইজতেমা মাঠে মোতায়েন রয়েছে। গতবারের চেয়ে এবার ১৫শ’ পুলিশ বাড়ানো হয়েছে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর জানান, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে আজ পর্যন্ত ৪৫টি দেশের প্রায় ৪হাজার মুসলিম যোগদান করেছেন। এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রায় ৫০ লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছে।
iqna