পার্সটুডের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: আয়াতুল্লাহ খাতামি বলেছেন, মার্কিন সরকার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় নেতা তথা ওয়ালিয়ে ফকিহ'র শাসন-ব্যবস্থার ওপর আঘাত হানার চেষ্টা করছে, কারণ এই ব্যবস্থার কারণেই এ অঞ্চলে তাকফিরি-ওয়াহাবি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ বা আইএসআইএল –কে (আইএস) জোরদারের এবং কথিত 'বৃহৎ মধ্যপ্রাচ্য' গড়ার মার্কিন ষড়যন্ত্রগুলো ব্যর্থ হয়েছে।
কথিত বৃহৎ মধ্যপ্রাচ্য গড়ার মার্কিন স্বপ্ন কবরে স্থান পাবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
তেহরানের জুমা নামাজের অস্থায়ী খতিব ইরানের ব্যাপারে মার্কিন কূট-কৌশলগুলো তুলে ধরে বলেছেন, এসবের মধ্যে রয়েছে ইরানের পরমাণু জ্বালানীকে অকার্যকর রাখা, দেশটির প্রতিরক্ষা ও ক্ষেপণাস্ত্র-শক্তি কমানো, লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ফিলিস্তিনি সংগ্রামীদের প্রতি ইরানের মদদ কেটে দেয়া এবং নতুন মধ্যপ্রাচ্য পরিকল্পনা মেনে নিতে তেহরানকে বাধ্য করা, কিন্তু মার্কিন সরকারের এইসব চক্রান্তই ব্যর্থ হয়েছে।
আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আহমাদ খাতামি বলেছেন, ইরানের নেতৃবৃন্দ পরমাণু সমঝোতা বা এর সংস্কারের ব্যাপারে নতুন আলোচনা ও ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি কমানোর দাবির বিরোধিতা করছে। তেহরান এইসব বিষয়ে কোনো দেশকেই হস্তক্ষেপের সুযোগ দেবে না বলে তিনি সতর্ক করে দেন।
পবিত্র কুরআন ও ইসলামী ইরানের সংবিধানের আলোকে ফিলিস্তিনের সংগ্রামী দলগুলো ও লেবাননের জনপ্রিয় হিজবুল্লাহ আন্দোলনের প্রতি তেহরানের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে খাতামি জানান।
দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলকে নিরাপদ রাখার জন্য মার্কিন সরকার এ অঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে বলে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। এ প্রসঙ্গে তেহরানের জুমা নামাজের অস্থায়ী খতিব আরও বলেছেন, মার্কিন সরকার এখন দায়েশ বা আইএসআইএল গোষ্ঠীর সন্ত্রাসীদেরকে আফগানিস্তানে পাঠাচ্ছে যাতে নানা ধরনের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ হাসিল করা যায়।
আয়াতুল্লাহ খাতামি ইয়েমেনে সৌদি অপরাধযজ্ঞ ও বাহরাইনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বলেছেন, সৌদি আরবের অপরিপক্ব যুবরাজ দেশটিকে আমেরিকার একটি অঙ্গরাজ্যে পরিণত করেছেন; আর বাহরাইনের আলে খলিফা শাসকগোষ্ঠী দেশটির শীর্ষ আলেম শেইখ ঈসা কাসেমের বিরুদ্ধে ফাঁসি, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও নাগরিকত্ব বাতিলের নির্দেশ দিয়ে দেশটিকে এক বড় রাজনৈতিক কারাগারে পরিণত করেছে।