IQNA

মিয়ানমার সেনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত

1:12 - February 18, 2018
সংবাদ: 2605080
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমার সেনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন দেশটিতে সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টের এক জার্মান সদস্য।

 

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংসদ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফর করছেন। সেই প্রতিনিধি দলে আছেন বারবারা লখবিহলার নামের ওই জার্মান আইনপ্রণেতা।

ডিপিএ'কে দেয়া সাক্ষাৎকারে গ্রিন পার্টির সদস্য ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জার্মানির সাবেক মহাসচিব বারবারা বলেন যে,  মিয়ানমার মিলিটারির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির মতো যে কোনো সিদ্ধান্তে তিনি সমর্থন দেবেন।

আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ইইউ'র ফরেন অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলের সভা বসবে। সেখানে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার একটি সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে মনে করেন বারবারা।

তিনি বলেন যে, সাত লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অত্যাচারে বাংলাদেশে পালিয়েছে।

‘যে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, তারা পরিষ্কারভাবে দেশে ফিরতে চান, যদিও তারা তাদের দেশে চরম বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।’ বলছিলেন বারবারা।

 ‘কিন্তু তারা নাগরিকত্ব চান। নিরাপদে বাঁচতে চান।'

তিনি আরো বলেন, ‘তারা শরণার্থী শিবিরে নিরাপদ বোধ করছেন।'

প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় মিয়ানমার সরকার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থাকে যুক্ত হতে বাধা দিচ্ছে মিয়ানমার সরকার, যা উচিত হচ্ছে না বলে মনে করেন বারবারা।

 ‘তারা যদি মনে করে, জাতিসংঘকে বাদ দিয়ে তারা এসব করবে, তাহলে ভুল করছে।'

ইইউ প্রতিনিধি দলটি রাখাইন সফর করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সফর করতে দেয়া হয়নি। শুক্রবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। কিন্তু অং সান সুচিকে তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় দেননি।

তবে শোনা যাচ্ছে, নিষেধাজ্ঞা শুধু মিয়ানমারের সেনাদের ওপরই করা হবে, জনগণের ওপর নয়।

রসঙ্গত, কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গাদের ওপর গত ২৫ অগাস্ট নতুন করে সেনাবাহিনীর দমন অভিযান শুরু হলে ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে শুরু করে তারা। এই কয় মাসে সাত লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। আগে বিভিন্ন সময়ে আসা আরও চার লাখের মতো রোহিঙ্গার ভার বহন করছে বাংলাদেশ।

এই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য গত ২৩ নভেম্বর মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্মতিপত্র সই হয়। এর ভিত্তিতে দুই দেশ যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে এবং ১৬ জানুয়ারি ওই গ্রুপের প্রথম বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিভিন্ন বিষয় ঠিক করে ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ স্বাক্ষরিত হয়। ডয়চে ভেলে

captcha