বার্তা সংস্থা ইকনা: স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা দিয়েছে যে, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ দেশটির রোহিঙ্গা মুসলিমদের পোড়া বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ রিচার্ড ডুয়ার বলেছেন, মিয়ানমার সরকার সবকিছু ধ্বংস করেছে। আর এটি সেদেশের সরকারের একটি উদ্বেগজনক পদক্ষেপ। ক্রাইমের অঞ্চলে সকল কিছু ধ্বংস করার মাধ্যমে ভবিষ্যতে এই অঞ্চলে তদন্তে ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। এই কাজের মাধ্যমে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ সঠিক বিচারের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত ঐ চিত্রতে দেখা যায় যে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ৪৫০টি বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে।
আইনজীবীদের মতে মিয়ানমার সরকার এই পদক্ষেপের মাধ্যমে তাদের সকল অপকর্মের প্রমাণ ধ্বংস করেছে। কিন্তু সেদেশের কর্তৃপক্ষ দাবী করছে, এসকল অঞ্চল পুনর্নির্মাণের জন্য গ্রামগুলো ধ্বংস করেছে।
আগস্টের ২৫ তারিখের পর থেকে রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে এ পর্যন্ত অন্তত ৩০০টির অধিক গ্রাম বিধ্বস্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীরা জানিয়েছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং উগ্রপন্থী বৌদ্ধরা তাদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে।
গত ২৩শে নভেম্বর বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে বলা হয়, দু'মাসের মধ্যে রোহিঙ্গারা কিছু শর্তের অধীনে রাখাইনে ফেরা শুরু করবে। বাংলাদেশে ২৫শে আগস্টের পর থেকে ৮ লাখ ২৬ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দূত জেইদ রা'দ আল-হুসেইন বিবিসিকে দেয়া এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘কোনো আদালত যদি মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর গণহত্যা চালানো হয়েছে বলে রায় দেয়, তাতে আমি বিস্মিত হবো না। কারণ রোহিঙ্গাদের উপর খুব পরিকল্পনা মাফিক হামলা চালানো হয়েছে।'
এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২৫শে অগাস্ট থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাখাইনে বসবাসরত কমপক্ষে ৯ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছে।
iqna