IQNA

ইরানের সামরিক বাহিনীরসমূহের মধ্যে সমন্বয়ের প্রশংসা করলেন রাহবার

0:09 - April 23, 2018
সংবাদ: 2605581
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সামরিক বাহিনী বিশ্বের সমস্ত দেশের সামরিক বাহিনী থেকে ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য ও সক্ষমতার অধিকারী। কেননা এ বাহিনীর মূলমন্ত্রে রয়েছে সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা এবং ঈমানি চেতনা।

বার্তা সংস্থা ইকনা: গতকাল (রোববার) ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ও ইসলামি বিপ্লবের রাহবার আয়াতুল্লাহ আল উজমা আলী খামেনেয়ী আজ রবিবার দেশটির সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের শীর্ষ কমান্ডারদের সাথে সাক্ষাতকালে বলেন: ইরানে ইসলামি বিপ্লব প্রতিষ্ঠা ও ইসলামি সরকার গঠনের পর সামরিক বাহিনী এক নজিরবিহীন ইসলামি বাহিনীতে রূপান্তরিত হয়েছে। আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা, গভীর ঈমান এবং ইসলামি শরিয়তি বিধানাবলীর প্রতি আনুগত্য ইরানের সামরিক বাহিনীকে পৃথিবীর যে কোন দেশের সামরিক বাহিনী থেকে ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্যের অধিকারী করেছে।
এ সময় তিনি ইরানি সামরিক বাহিনীর যোগ্যতা ও মূল্যবান অভিজ্ঞতার প্রশংসা করেন। এছাড়া, ইরানি সামরিক বাহিনীর তরুণ সদস্যদের ভবিষ্যৎ নিয়েও তিনি ব্যাপক আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় তিনি সামরিক বাহিনীর শক্তি বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন।
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, “এ পর্যন্ত যেসব উন্নতি সাধন করা হয়েছে তা অবশ্যই অব্যাহত রাখতে হবে যাতে আগামীর সামরিক বাহিনী আরো ভালো ও বেশি বিপ্লবী হয়।” সামরিক বাহিনীর উন্নয়নে তিনি ইরানের তরুণ সেনা সদস্যদেরকে তাদের সমস্ত পদক্ষেপ, প্রচেষ্টা ও সক্ষমতাকে ব্যবহার করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন: আজ ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সামরিক বাহিনী পৃথিবীর শক্তিশালী বাহিনীসমূহের অন্যতম। মারাত্মক সমরাস্ত্রে সজ্জিত না হয়েও নিজেদের চেষ্টা ও সাধনার মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণতায় উন্নীত হতে সক্ষম হয়েছে।
সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন: দেশের সামরিক বাহিনীকে অবশ্যই আরো শক্তিশালী ও যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে। এ ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনী অতীত অভিজ্ঞতার সুযোগ নিতে এবং যুবশক্তির ওপর নির্ভর করতে পারে।
তিনি বলেন: ১৯৭৮ সালে ইমাম খোমেনীর নেতৃত্বে ইরানের ইসলামি হুকুমত প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর বিশ্বের কুফরি ও তাগুতি শক্তিগুলো ইরানের বিরুদ্ধে নানাবিধ চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। তারা সব সময় ইরানকে কোণঠাসা করে রাখার চেষ্টা করেছে এবং প্রতিবেশী দেশ ইরাককে উস্কে দিয়ে আমাদের উপর ৮ বছরের যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ইরানের সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে সমন্বয় ও শৃঙ্খলার কারণে শত্রুদের সব চক্রান্ত নস্যাৎ হয়ে গেছে।
এর আগেও আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী দেশের সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেছন এবং সামরিক বাহিনীর যোগ্যতা ও দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইরানের সামরিক বাহিনীর শক্তি বেড়ে চলায় শত্রুরা ভীত তবে তারা এর রাশ টেনে ধরতে পারবে না। 

iqna

captcha