বার্তা সংস্থা ইকনা: সর্বোচ্চ নেতা বলেন, পরমাণু সমঝোতার ভিত্তিতে আগামীকাল থেকেই এ সংক্রান্ত প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। তিনি আরও বলেন, কোনো কোনো ইউরোপীয় সরকারের কথাবার্তা থেকে মনে হচ্ছে তারা চায় ইরানি জাতি নিষেধাজ্ঞাও সহ্য করবে আবার পরমাণু কর্মসূচিও বন্ধ রাখবে।কিন্তু ওই সব ইউরোপীয় সরকারের জেনে রাখা উচিত তাদের এই স্বপ্ন সত্যি হবে না। নিশ্চিতভাবেই খুব শিগগিরই ইরানের জন্য পরমাণু তৎপরতার প্রয়োজন দেখা দেবে বলে তিনি জানান।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ি ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি প্রসঙ্গে বলেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, (সাদ্দামের) চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের সময় আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি ছিল না, এ কারণে সীমান্ত শহরগুলো থেকে শুরু করে রাজধানী তেহরান পর্যন্ত রাত-দিন ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়তো। কিন্তু বর্তমানে তরুণ বিশেষজ্ঞদের কল্যাণে মধ্যপ্রাচ্যের শ্রেষ্ঠ ক্ষেপণাস্ত্র শক্তিতে পরিণত হয়েছি। শত্রুরা এটা জানে যে, তারা যদি একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে তাহলে আমরা দশটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এর জবাব দেব।
তিনি বলেন, শত্রুরা এ বিষয়ে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ চালাচ্ছে যাতে আমরা আমাদের জাতীয় শক্তি ও দৃঢ়তার এই উপাদান হাতছাড়া করি এবং তারা সহজেই আমাদের দেশ-জাতি ও ভবিষ্যতের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারে। কিন্তু ইরানি জাতি তাদের এ তৎপরতার মোকাবেলায় রুখে দাঁড়িয়েছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান এবং বিশ্বের মজলুম জাতিগুলোর প্রতি সমর্থনকে ইসলামি ইরানের জাতীয় নীতির একটি শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ দিক বলে উল্লেখ করেন সর্বোচ্চ নেতা। আগামী শুক্রবার বিশ্ব কুদস দিবস পালিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে এবারের কুদস দিবসে মানুষের উপস্থিতি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।