বার্তা সংস্থা ইকনা: পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, পূর্ববর্তী সম্প্রদায়ের জন্যও রোজার বিধান ছিল। অর্থাৎ রোজা পালন শুধু কুরআনের বিধান ঘোষিত হওয়ার পর থেকে প্রবর্তিত হয়নি। আত্মশুদ্ধি ও বিধাতার নৈকট্য লাভের জন্য কৃচ্ছ তা সাধন ইবাদত হিসেবে শুধু ইসলামে পরিপালনীয় নয়, স্থান-কাল-পাত্র ভেদে সকল ঐশী ধর্মের মধ্যে আত্মিক নির্বাণ লাভের এ সাধনা বিদ্যমান।
নবী করিম (সা.) বলেছেন, যার মুষ্টিতে আমার প্রাণ সে আল্লাহর শপথ, রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের সুগন্ধ অপেক্ষাও উৎকৃষ্ট।
মাহে রমজানে সংযম আর নিরলস সাধনা হলো নিজের বিরুদ্ধে, নফস, রিপু ও লালিত কামনা-বাসনার বিরুদ্ধে। রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, প্রকৃত মুজাহিদ তো সে-ই যে তার নিজের নফস ও রিপুর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে।
সিয়াম সাধনার মর্মকথা হলো মুত্তাকী বা খোদাভীরু হতে পারা। কাজেই তাকওয়া অর্জন করতে না পারলে বুঝতে হবে তাৎপর্যহীন উপবাস ও অন্তঃসারশূন্য অনশনই শুধু পালন করা হয়েছে। সিয়ামের মূল দাবী দুঃখজনকভাবে অগ্রাহ্য ও অপূরণ রয়ে গেছে। অথচ অর্থহীন উপবাসকে অর্থবহ করার লক্ষ্যেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন স্পষ্টভাবে পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেছেন: ”লাআল্লাকুম তাত্তাকুন” যেন তোমরা মুত্তাকী হতে পার। শাবিস্তান