IQNA

লালমনিরহাটে মহানবীর (সা.) সময়ে বাংলাদেশে নির্মিত মসজিদ

14:10 - July 11, 2018
1
সংবাদ: 2606187
ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর সময়ে লালমনিরহাট জেলায় মসজিদ নির্মাণ হয়েছিল বলে তথ্য রয়েছে। লালমনিরহাট জেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস গ্রামের ‘মজেদের আড়া’ নামক জঙ্গলে ১৯৮৭ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল প্রাচীন একটি মসজিদের ধ্বংসাবশেষ।



বার্তা সংস্থা ইকনা: ইসলামিক লেখক মতিউর রহমান বসনীয়া রচিত ‘রংপুরে দ্বিনী দাওয়াত’ বইয়ে এ মসজিদ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, লালমনিরহাট জেলার এ প্রাচীন মসজিদ ও এর শিলালিপি দেখে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি যে, বখতিয়ার খলজীর বাংলা বিজয়ের (১২০৪ খ্রি.) ৬০০ বছর আগেই বাংলা অঞ্চলে সাহাবি (রা.) দ্বারা ইসলামের আবির্ভাব হয়েছিল।

ধারণা করা হয়, মহানবীর (সা.) জন্মগ্রহণের ৫০ বছর পরেই বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মের আবির্ভাব হয়। লালমনিরহাট জেলায় আনুমানিক ৬২০ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম ইসলামের আবির্ভাব ঘটেছিল।

লালমনিরহাটে মসজিদটির যে ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে- এতে কালেমা তায়্যিবা ও ৬৯ হিজরি লেখা রয়েছে।

হিজরি ৬৯ অর্থ হলো ৬৯০ খ্রিস্টাব্দ। রংপুর জেলার ইতিহাস গ্রন্থ থেকে জানা যায়, রাসূলের (সা.) মামা বিবি আমেনার চাচাতো ভাই আবু ওয়াক্কাস (রা.) ৬২০ থেকে ৬২৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার করেন (পৃ. ১২৬)।

অনুমান করা হয় যে, ৬৯০ খ্রিস্টাব্দের মসজিদটি আবু ওয়াক্কাস (রা.) নির্মাণ করেন। বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ও প্রাচীন এই মসজিদটির উত্তর-দক্ষিণে ২১ ফুট এবং পূর্ব-পশ্চিমে ১০ ফুট। মসজিদের ভেতরের পুরুত্ব সাড়ে ৪ ফুট।

মসজিদে চার কোণে অষ্টকোণবিশিষ্ট স্তম্ভ রয়েছে। মসজিদের ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া যায় গম্বুজ ও মিনারের চূড়া (রংপুর জেলার ইতিহাস, পৃ. ১৬৪)।

বাংলাদেশে ঐতিহ্যবাহী মসজিদ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী গণমাধ্যম আল-জাজিরা সংবাদ প্রকাশ করে। আল-আজিজার প্রচারিত ভিডিওটি নিচে দেয়া হল।

প্রকাশিত: 1
পর্যালোচনা করা হচ্ছে: 0
প্রকাশযোগ্য নয়: 0
vxswpemn
0
0
20
captcha