IQNA

বাবরি মসজিদ মামলার রায় পুনর্বিবেচনার জন্য স্থগিত করেছে আদালত

23:59 - July 21, 2018
সংবাদ: 2606265
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ‘রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ’ শিরোনামের মামলায় ১৯৯৪ সালে উচ্চ আদালতের দেয়া রায় ‘সংরক্ষণ’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট।

বাবরি মসজিদ মামলার রায় পুনর্বিবেচনার জন্য স্থগিত করেছে আদালত

 

বার্তা সংস্থা ইকনা: রায়টি একটি বৃহত্তর বেঞ্চের পুনর্বিবেচনার জন্য কয়েকটি মুসলিম সংগঠনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার শুনানি শেষে দিল্লির সুপ্রিম কোর্ট এই আদেশ দেয়।

১৯৯৪ সালে সুপ্রিমকোর্টের ওই রায়ে বলা হয়েছিল- মসজিদ ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অংশ নয়।

অযোধ্যার বিষয়টি নিয়ে মামলাকারীদের একজন এম সিদ্দিক মারা যাওয়ার পর তার বৈধ উত্তরাধিকারী হিসেবে তার প্রতিনিধিত্ব করছেন এম ইসমাইল ফারুকি। ১৯৯৪ সালের বিতর্কিত ওই রায়টির বিরুদ্ধে এখন তিনি প্রাণপণ লড়ে যাচ্ছেন।

প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র এবং বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং এসএ নাজিরের সমন্বয়ে একটি বিশেষ বেঞ্চে মুসলিম দলগুলোর পক্ষ থেকে এই যুক্তি দেওয়া হয় যে, এই রায়টি শীর্ষ আদালতের সুদূরপ্রসারী পর্যবেক্ষণের জন্য পাঁচজন বিচারপতি বেঞ্চের পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন।

এদিন আদালতের বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘আদেশটি সংরক্ষিত আছে’ এবং মুসলিম সংগঠনগুলোকে তাদের যুক্তি আগামী ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে লিখিতভাবে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।

সিদ্দিকীর আইনী প্রতিনিধির পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট রাজীব ধাওয়ান আদালতকে বলেন, ইসলাম ধর্ম পালন করার জন্য মসজিদ অপরিহার্য নয় বলে উচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছিল তা কোনও ধরনের তদন্ত ছাড়াই অথবা ধর্মীয় গ্রন্থে বিবেচনা না করেই দেয়া হয়েছিল।

তিনি বলেন, এটি ছিল একটি প্রতারণামূলক পর্যবেক্ষণ যেকারণে বিতর্কিত শিরোনামটির শীর্ষ আদালতে শুনানি হওয়ার আগে তা পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন।

শুনানির শুরুতে হিন্দুদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ ওই দিন হিন্দুদের আচরণ ছিল ঠিক তালেবানদের মতো৷

তিনি তার বক্তব্যের স্বপক্ষে আফগানিস্তানের বামিয়ানে বুদ্ধ মূর্তি ধ্বংসের কথা টেনে আনেন৷ জানান, তালেবানরা যেভাবে বুদ্ধ মূর্তি ভেঙেছিল হিন্দুরাও একই কায়দায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস করেছিল৷

আইনজীবীর ‘হিন্দু তালেবান’ মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন অপর আইনজীবীরা। দু’পক্ষকে শান্ত করতে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র আদালতে শিষ্টাচার রক্ষার কথা মনে করিয়ে দেন।

তার পরেও নিজের অবস্থানে অটল থাকেন রাজীব ধাওয়ান। জানান, নিজের আগের মন্তব্য থেকে একচুলও সরবেন না। বলেন, ‘১৯৯২ সালের ডিসেম্বরের ওই দিন যা ঘটেছিল তা হিন্দু সন্ত্রাস ছাড়া কিছু না।’ এনডিটিভি

captcha