বার্তা সংস্থা ইকনা: কেউ নাপাক অবস্থায় যাতে মসজিদে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য এই ব্যবস্থা নেয়া হয়। কোনো কোনো সাহাবি এ বিষয়ে আপত্তি জানালে বিশ্বনবী (সা.) বলেন:
"নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর নবী মুসাকে একটি পবিত্র মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং মসজিদের ভেতরেই মুসা ও তাঁর ভাই হারুন আর হারুনের দুই সন্তান শাবার ও শুবাইরকে থাকার অনুমতি দিয়েছিলেন। ঠিক একইভাবে মহান আল্লাহ আমাকে অনুরূপ একটি পবিত্র মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন যার ভেতরে আমি নিজে ও আমার ভাই আলী এবং তাঁর দুই সন্তান হাসান ও হুসাইন বসবাস করতে পারবে। আর নিশ্চয়ই আমাকে যা করতে বলা হয় (আল্লাহর পক্ষ থেকে) আমি তা-ই করি। আমি আমার নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কখনও কাজ করি না। নিশ্চয়ই আমি তোমাদের ঘরের (মসজিদে লেগে-থাকা) দরজাগুলো বন্ধ করার ও আলীর ঘরের দরজা খোলা রাখার নির্দেশ নিজের থেকে দেইনি। মহান আল্লাহ নিজেই চেয়েছেন যে এই মসজিদে আলীরও একটি আবাসস্থল থাকুক।"
এই ঘটনা সিয়াহ সিত্তাহ'র অন্তর্ভুক্ত বুখারি ও তিরমিজি শরিফের মত আহলে সুন্নাতের প্রখ্যাত হাদিস গ্রন্থগুলোতে বর্ণিত হয়েছে।
দ্বিতীয় খলিফা একবার বলেছিলেন: "নিশ্চয়ই আলীকে দান করা হয়েছে তিনটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য এসবের মধ্যে যদি একটিও আমার ভাগ্যে থাকত তাহলে আমি অনেক শাবক জন্ম দিতে সক্ষম বহু উটের মালিক হওয়ার চেয়েও তাকে বেশি মূল্যবান মনে করতাম।"
তাকে প্রশ্ন করা হল, সেই তিনটি দিক বা বৈশিষ্ট্য কী?
তিনি বললেন, "(নবী-নন্দিনী) ফাতিমা (সা. আ.)'র সঙ্গে তাঁর বিয়ে, মসজিদে (নববীর) ভেতরে তাঁর বসবাস অব্যাহত থাকা যা আমার জন্য বৈধ নয় এবং খায়বার যুদ্ধের পতাকা (তথা সেনাপতিত্ব) পাওয়া।"
আলী (আ.)'র আগে অন্য সেনাপতিরা মদিনায় ইহুদি শত্রুদের খায়বর দুর্গ জয় করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন, "আগামীকাল আমি এমন একজনের হাতে পতাকা দেব যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ভালবাসেন এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলও তাঁকে ভালবাসেন।" পার্সটুডে