IQNA

নবী-পরিবার ও ইমাম-শিবির যেন এক ফোটা পানিও না পায়: ইবনে জিয়াদ

19:53 - September 18, 2018
সংবাদ: 2606750
১৩৭৯ চন্দ্র-বছর আগে ৬১ হিজরির এ৭ মহররম ইয়াজিদ বাহিনীর সেনাপতি ওমর ইবনে সাদ হযরত ইমাম হুসাইন (আ.) এবং তাঁর পরিবার ও সঙ্গীদের জন্য ফোরাত নদীর পানি বন্ধ করে দেয়।

নবী-পরিবার ও ইমাম-শিবির যেন এক ফোটা পানিও না পায়: ইবনে জিয়াদ

 
বার্তা সংস্থা ইকনা: ৭ মহররম রাতে হযরত ইমাম হুসাইন (আ.) অভিশপ্ত ওমর সাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন ও কথা বলেন। খুলি বিন ইয়াজিদ নামের এক ব্যক্তি এই ঘটনার সংবাদ ইয়াজিদের নিযুক্ত ইরাকের গভর্নর ইবনে জিয়াদের কাছে পৌঁছে দেয়। খুলি ইমামের প্রতি তীব্র বিদ্বেষ পোষণ করত। এ সাক্ষাতের খবর শুনে ওমর সাদের কাছে একটি চিঠি লেখে ইবনে জিয়াদ। ইবনে জিয়াদ এ ধরনের সাক্ষাতের ব্যাপারে সাদকে সতর্ক করে দেয় এবং নবী-পরিবার ও হুসাইন (আ.)’র সঙ্গীদের জন্য ফোরাতের পানি বন্ধ করতে বলে। ইমাম শিবির যেন এক ফোটা পানিও নিতে না পারে ফোরাত থেকে সে নির্দেশ দেয় ইবনে জিয়াদ।

ইবনে জিয়াদ ইমাম হুসাইনের কাফেলার ওপর চাপ সৃষ্টি ও অবরোধ জোরদারের জন্য কারবালায় আরও সেনা পাঠাতে থাকে।

আমর ইবনে হাজ্জাজ যুবাইদি নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে ইয়াজিদ বাহিনীর ৫০০ অশ্বারোহী সেনা ফোরাতের তীর নবী-পরিবার ও তাদের সঙ্গীদের জন্য নিষিদ্ধ করে। অবশ্য ইমাম হুসাইন (আ)'র সৎ ভাই ( ও আশুরার দিনে তাঁর অন্যতম সেনাপাতি) আবুল ফজল আব্বাস রাতের বেলায় এক অভিযান চালিয়ে ফোরাত থেকে কিছু পানি আনেতে সক্ষম হন এবং তাতে নবী-পরিবার আরও একদিন পানি ব্যবহারের সুযোগ পান। কিন্তু পরের দিন থেকে ১০ মহররম পর্যন্ত তিন দিন ইমাম শিবিরে আর এক ফোটা পানিও যায়নি। অথচ ফোরাতের পানি কখনও কোনো পশুর জন্যও নিষিদ্ধ হয়নি।

পাপিষ্ঠ ও জালিম ইয়াজিদের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করতে ইমাম হুসাইন (আ.) ও তাঁর পরিবার এবং সঙ্গীদেরকে বাধ্য করাই ছিল পানি-অবরোধের উদ্দেশ্য। কিন্তু ইমাম ও তাঁর সঙ্গীরা শাহাদতের অমিয় সুধা পান করাকেই প্রাধান্য দিয়েছিলেন। ফলে (১০ মহররম) মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও লড়াই করে শহীদ হন ইমাম (আ.) ও তাঁর পরিবারের অনেক সদস্যসহ ইমামের সংগ্রামী সাথীরা। এভাবে সৃষ্টি হয় ইতিহাসের অনন্য বীরত্বের ঘটনা।

captcha