বার্তা সংস্থা ইকনা: তিনবার তালাক উচ্চারণ করে স্ত্রীকে বিবাহ বিচ্ছেদ দিলে এই আইন অনুযায়ী মুসলিম পুরুষদের তিন বছরের জেল ও আর্থিক জরিমানার বিধান থাকছে। তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর খোরপোষ পাওয়ারও অধিকার থাকবে।
এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের শাসক তৃণমূল কংগ্রেস চুপ থাকলেও মুখ খুলেছেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চোধুরী। দলের উর্ধ্বে গিয়ে অবস্থান নিয়েছেন মোদীর বিরোধিতার। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন নিজের অভিমত। রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী বলেছেন, “তালাক প্রথা চলছে, চলবে।”
এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী জানিয়েছেন তালাকের অধিকার কোরআন এবং শরিয়ত দিয়েছে। এই বিষয়ে বিজেপি বাধা দেওয়ার কেউ নয় বলে দাবি করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “ইসলাম ধর্ম বিজেপির দয়ায় বেঁচে নেই। বিজেপির বয়স কত দিনের? ইসলাম ধর্ম সাড়ে চোদ্দোশো বছর ধরে। যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন তিনিই, তাঁর পক্ষ থেকেই এই আইন।”
কেন্দ্রের বিল বা আইন নিয়ে যে মুসলিম সমাজ ভাবিত নয় তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা। তাঁর কথায়, “ইসলাম ধর্মে যারা বিশ্বাসী তারা বিবাহ করে এবং প্রয়োজনের তাগিদে বিচ্ছিন্ন হয় বা তালাক হয়। এটা বাঁচার একটা রাস্তা। এক্ষেত্রে অর্ডিন্যান্স কী হল না হল মুসলমানদের কোনও পরোয়া নেই।”
যদিও এই অর্ডিন্যান্সের বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি তৃণমূল। দলের অবস্থান নিয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের রাজ্য সভাপতি তথা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা। তিনি বলেছেন, “দল কী বলবে জানি না, যখন বলবে তখন ভাবব। জামায়েত নেতা হিসেবে এখন এটাই আমার বক্তব্য।”
তিন তালাক নিয়ে কিছুটা হলেও ধীরে চলার অবস্থান নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এক বছর আগে যখন সুপ্রিম কোর্ট এই নিয়ে রায় দিয়েছিল তখন তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ মুখ খোলেনি। মাস খানেক পরে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “তিন তালাক বাতিল করা নিয়ে আমরা বিরোধিতা করিনি। কারণ, এটি মেয়েদের পক্ষে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের বিলে মেয়েদের সমস্যা বাড়বে।”
তাত্ক্ষণিক তিন তালাক বিরোধী বিল নিয়ে অনেক সমস্যায় পরতে হয়েছে কেন্দ্রকে। লোকসভায় বিল পাস হলেও আটকে যায় রাজ্যসভায়। অনেক বিরোধিতা আসে বিরোধী বেঞ্চ থেকে। সংশোধন করে বুধবার অর্ডিন্যান্স জারি করেছে কেন্দ্র ফলে এখন থেকে তিন তালাক দেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ।