বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম মাহদী(আ.)-এর প্রতি আমাদের তিনটি প্রধান দায়িত্ব রয়েছে; যথা- ১. ইমাম মাহদীকে(আ.) সঠিকভাবে চেনা, ২. আহলে বাইতের(আ.) প্রতি মহব্বত ও ভালবাসা পোষণ এবং ৩. আহলে বাইতের(আ.) আনুগত্য এবং আল্লাহর উপাসনা করা।
ইমামত হচ্ছে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি বড় দয়া এবং আল্লাহ আমাদেরকে যে মূল্যবান উপহার দিয়েছেন তা যে কোন স্থানে রাখা যাবে না। অনুরূপভাবে আল্লাহ যখন আমাদেরকে কোন কিছু উপহার দিবেন আমরা বলতে পারব না যে কোথায় দিবেন।
তিনি ইমাম মাহদী(আ.)-এর ৫ বছর বয়সে ইমাম হওয়া সম্পর্কে বলেন: এটা মহান আল্লাহর জন্য কোন কঠিন বিষয় নয়। যেমন একটা পেনড্রাইভ থেকে অন্য পেনড্রাইভে খুব সহজেই সকল বিষয় স্থানান্তর করা সম্ভব। অনুরূপভাবে মহান আল্লাহর জন্য ইমাম হাসান আসকারী(আ.) হতে শিশু ইমাম মাহদীর(আ.) কাছে সকল জ্ঞান স্থানান্তর করাও অতি সহজ বিষয়।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে: যারা নবুয়তকে গ্রহণ করে না তারা আল্লাহকে চিনতে পারে নি এবং এমনটি নয় যে আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করে তাদেরকে পথপ্রদর্শক ছাড়াই রেখে দিবেন।
পবিত্র কোরআনে আরও বর্ণিত হয়েছে: চন্দ্র, সূর্য, আকাশ বাতাস সবাই তোমাদের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে এবং তোমাদেরকে পথ প্রদর্শক ব্যতীত ছেড়ে দেয়া হয় নি।
নবুয়ত গাদীরে খূমের দিন (১৮ই জিলহজ্জ) পরিপূর্ণ হয়েছে। যেদিন রাসূল(সা.) হযরত আলীকে(আ.) নিজের উত্তরাধিকারী হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেন।
সুতরাং আমরা যদি বলি যে আল্লাহ নবী প্রেরণ করেন নি, তাহলে বলতে হবে আল্লাহ প্রজ্ঞাবান নন। এবং যদি বলি রাসূল(সা.) উম্মতের কাণ্ডারি হয়েও তার পর নিজের প্রতিনিধি মনোনীত করে যান নি তাহলেও বলতে হবে রাসূল(সা.) তার রেসালতকে সম্পূর্ণ করে যান নি।