বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: মনে মনে ভাবলাম রাতটা এখান থেকে যাই সকালে আবার কাফেলা খুঁজে নিব। এই ভাবতে ভাবতে দেখলাম একজন আমাকে বলছে, তুমি কে? এখানে কি করছ?
আমি বললাম: আমি কাফেলা থেকে পিছিয়ে পড়েছি এবং বন্ধুদেরকে হারিয়ে ফেলেছি। তিনি বললেন, তাহাজ্জুদ নামাজ পড়, কিছুক্ষণ পর আবার এসে বললেন, এখনও যাও নি?
আমি বললাম: সত্যিই আমি পথ হারিয়ে ফেলেছি। তিনি বললেন, যিয়ারত জামে কাবিরা পাঠ কর। জিয়ারতে জামে কাবিরা পাঠ করা শেষ হলে আবার এসে বললেন, তুমি এখনও যাও নি। আমি এবার কেঁদে বললাম, সত্যিই আমি পথ হারিয়ে ফেলেছি।
তিনি বললেন, তাহলে এবার যিয়ারতে আশুরা পাঠ কর। যিয়ারতে আশুরা পাঠ করা শেষ হলে তিনি আবার এসে বললেন, তুমি এখনও এখানেই আছ? আমি বললাম, হ্যাঁ সকাল পর্যন্ত থাকব তারপর যাব।
এবার তিনি বললেন: আমিও এখন তোমাকে তোমার কাফেলায় পৌঁছে দিব। এরপর বললেন, আমার সাথে আমার গাধার পিঠে উঠ। আমিও উনার কথা মত উঠলাম এবং আমার ঘোড়াটাকে টানতে লাগলাম কিন্তু সে পথ চলল না। তিনি বললেন, আমার কাছে দাও-এর পর ঘোড়া খুব সহজেই পথ চলা শুরু করল।
অত:পর তিনি বললেন, তোমরা কেন নফল নামাজ এবং তাহাজ্জুদের নামাজ পড়না, কেন তোমরা যিয়ারতে জামে কাবিরা পড় না, কেন তোমরা যিয়ারতে আশুরা পড় না। এরপর তিনি বললেন, এরা তোমার বন্ধুরা তারা ফজরের নামাজ আদায় করার জন্য নদীর পাড়ে ওজু করছে।
আমি ঐ মহান ব্যক্তির গাধার পিঠ থেকে নেমে আমার বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে দেখলাম এরপর আর ঐ মহান ব্যক্তিকে দেখতে পেলাম না। আমি ভাবতে থাকলাম তিনি কে ছিলেন, যখন বুঝতে পারলাম (যে তিনি হচ্ছেন ইমাম মাহদী)তখন আর তিনি সেখানে ছিলেন না।