IQNA

আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার গুরুত্ব ও ফজিলত

21:15 - March 25, 2019
সংবাদ: 2608200
আত্মীয় বলতে আমরা বুঝি আপন লোকজনকে। এক বংশ ও রক্ত যার শরীরে বহমান তিনিই রক্ত সম্পর্কের আপনজন। কুটুম্বিতার দরুনও আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থাপিত হয়।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: মহান আল্লাহ তায়ালা পারিবারিক বন্ধন সৃষ্টি করে এক অনাবিল শান্তির আয়োজন করে দিয়েছেন। মাতা-পিতা, পুত্র-কন্যা, ভাইবোন, দাদা-দাদী, চাচা-ফুপু, নানা-নানী, মামা-খালা, শ্বশুর-শাশুড়ি সবাই আমাদের জন্য মহান রবের পক্ষ থেকে এক অপূর্ব ও অফুরন্ত নেয়ামত।

আমরা একে অপরের সান্নিধ্যে উপভোগ করি নিবিড় প্রশান্তি। তাদের সাথে সম্পর্ক রাখা যেমন অত্যাবশ্যকীয়, এ সম্পর্ক ছিন্ন করাও কবিরা গোনাহর অন্তর্ভুক্ত।

আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষাকারীর জন্য রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে যেমন রয়েছে পুরস্কার, তেমনই এ সম্পর্ক ছিন্নকারীর জন্য রয়েছে কঠোর হুঁশিয়ারি।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, যারা আল্লাহর দেয়া প্রতিশ্রুতির পর তা লঙ্ঘন করে, আর (আত্মীয়তার) সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখার আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে এবং পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, তাদের ওপর আল্লাহর লানত বা অভিশাপ। আর আখেরাতে তাদের জন্য রয়েছে নিকৃষ্ট আবাস। (রাদ -২৫)

ইমাম জাফর সাদিক(আ.) বলেছেন, صِلَهُ الارحام تُحسِّنُ الخُلقَ و تُسَمِّحُ الکَفَّ و تُطَیِّبُ النَّفسَ و تَزیدُ فی الرّزقِ و تُنسئُ فی الأجلِ যারা আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে তাদের চরিত্র ভাল হয়, দানশীল হয়, তাদের আত্মা পাক ও পরিশুদ্ধ হয় , তাদের রিজিক বৃদ্ধি পায় এবং তাদের হায়াত দারাজ হয়।

সূরা নিসার এক নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرًا وَنِسَاءً وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي تَسَاءَلُونَ بِهِ وَالْأَرْحَامَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا

হে মানুষ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর। যিনি তোমাদের একই ব্যক্তি হতে সৃষ্টি করেছেন এবং তা থেকে তার সহধর্মিণী সৃষ্টি করেছেন। যিনি তাদের দু'জন থেকে পৃথিবীতে বহু নর-নারী বিস্তার করেছেন। সেই আল্লাহকে ভয় কর,যার নামে তোমরা একে অপরের কাছে আবেদন কর। আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করাকে ভয় কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের ওপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখেন।

captcha