পার্সটুডের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, দু’টি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সাধারণত যে সম্পর্ক থাকে ইরান-ইরাক সম্পর্ক তার চেয়ে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এ ছাড়া, ইরানের সরকার ও জনগণ ইরাকের উন্নতি ও অগ্রগতিকে তাদের নিজেদের উন্নতি ও অগ্রগতি মনে করে বলেও জানান সর্বোচ্চ নেতা।
তিনি বলেন, মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও মার্কিনীরা ইরাকের গণতন্ত্র ও সেদেশের রাজনৈতিক নেতাদেরকে নিজেদের জন্য ক্ষতিকর মনে করে। কাজেই ইরাক সরকারের উচিত অবিলম্বে দেশটি থেকে মার্কিন সেনাদের বহিষ্কারের ব্যবস্থা করা।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, ইরাকের সরকার যদি ওয়াশিংটনের কথায় চলে তাহলে মার্কিন সরকার সন্তুষ্ট থাকবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ইরাকের বর্তমান সরকার ও সংসদ আমেরিকার আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী কাজ করছে না। তাই এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনা করছে ওয়াশিংটন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে তার অনুচররা ইরাকের চলমান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সন্তুষ্ট নয়। কারণ, ইরাকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকলে আমেরিকা ও তার সহযোগীদের স্বার্থ রক্ষিত হয় না।
মার্কিন ও সৌদি কর্মকর্তাদের স্ববিরোধী বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশ যখন ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় মসুল শহর দখল করে তখন আমেরিকা ও সৌদি আরব ওই গোষ্ঠীকে অর্থ ও সমরাস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছে। অথচ এখন যখন এই জঙ্গি গোষ্ঠী পরাজিত হয়েছে তখন ওয়াশিংটন ও রিয়াদ তাদের ভোল পাল্টে ফেলেছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এ সাক্ষাতে আব্দুল-মাহদি বলেন, ইরাকের কঠিন দুঃসময়গুলোতে বিশেষ করে সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে তেহরান বাগদাদের পাশে ছিল। তিনি এ জন্য ইরানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ও সহযোগিতা শক্তিশালী করার সংকল্প ব্যক্ত করে বলেন, বাগদাদ কখনো ওয়াশিংটনের তেহরান বিরোধী নিষেধাজ্ঞায় যোগ দেবে না। iqna