বার্তা সংস্থা ইকনা: সমালোচকরা বলছেন, এই আইনের লক্ষ্য মুসলিম নারীদের বোরকা। ইহুদিরাও আইনটির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান লিখেছে, একই রকম আইন ২০০৪ সালে ফ্রান্সেও পাস হয়েছিল। সেখানে নেকাব, ক্রুশ চিহ্ন ও অন্যান্য ধর্মীয় পরিচয় বহনকারী জিনিসপত্র পরা নিষিদ্ধ হয়েছিল। কুইবেকের প্রস্তাবিত আইনে কোনও ধর্মের কথা আলাদা করে বলা হয়নি।
কানাডার কুইবেক প্রদেশে ক্ষমতায় রয়েছে ‘ডানপন্থী’ জোট ‘আভেনির কুইবেক’ (সিএকিউ)। অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ ও একটি ধর্মনিরপেক্ষ পরিবেশ নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছিল তারা। আইনটি প্রস্তাবের পর কুইবেকের মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন, ‘এটি আমাদের মূল্যবোধকে উপস্থাপন করে এবং তা গুরুত্বপূর্ণ।’ কিন্তু উত্থাপিত আইনটি কার্যকর হলে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের ‘মুখোমুখি’ দাঁড়াতে হবে তাদের। এ বছরেই কানাডায় কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে কুইবেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এক স্থান হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে। জাস্টিন ট্রুডো ইতোমধ্যেই এই আইন পাসের বিরোধিতা করে বিবৃতি দিয়েছেন।
কুইবেকে প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, শিক্ষক, বিচারক, পুলিশ বাহিনীসহ কর্তৃত্ব রয়েছে এমন সরকারি চাকরিজীবীরা দায়িত্ব পালনকালে ধর্মীয় পরিচয়সূচক কোনও কিছু পরিধান করতে পারবেন না। তবে আইনে বর্তমানে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তাদের এই বিধি থেকে রেহাই দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অব কানাডিয়ান মুসলিমস’ বলেছে, এই আইন পাস হলে তা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করবে এবং এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে মুসলিম নারীরা। iqna