বার্তা সংস্থা ইকনা: গতকাল সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের পর আজ শ্রীলংকার পুলিশ একটি ভ্যানে একটি শক্তিশালী বোমার সন্ধান পায়। বোমাটি নস্যাৎ করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে।
রোববার শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোতে ইস্টার সানডের দিনে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তিনটি গির্জা ও চারটি বিলাসবহুল হোটেল বোমা হামলায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৩০০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ হামলায় আরো প্রায় ৫০০ জন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৪ জনকে আটক করেছে শ্রীলংকা পুলিশ। তবে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে জামাত আল তৌহিদ আল ওয়াতানিয়া (এনটিজে) নামের একটি সংগঠন। এছাড়া এ হামলায় অন্তত ৩৬ জন বিদেশি নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্র জানায়, রোববার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিট থেকে ১১টার মধ্যে এ হামলাগুলো হয়। হামলার স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে, শহরতলির তিনটি গির্জা ও দেশের বড় চারটি হোটেল।
বৈজ্ঞানিক অর্গানাইজেশন, ইসলামী শিক্ষা সাংস্কৃতিক (ISESCO), এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে শান্তি, সহনশীলতা এবং শ্রদ্ধা বৃদ্ধি করার জন্য কাজ করে আসছিল। এই হামলা এসকল আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দেশটির মন্ত্রীপরিষদের মুখপাত্র রাজিথা সেনারত্নে এই হামলার জন্য ন্যাশনাল তাওহিদ জামায়াতকে (এনটিজে) দায়ী করছেন। কিন্তু তিনি তার এই দাবী পেছনে কোন দলীল উত্থাপন করেননি।
শ্রীলংকায় মোট জনসংখ্যা দুই কোটি ২০ লাখ। এরমধ্যে ৭০ শতাংশ বৌদ্ধ, ১৩ শতাংশ হিন্দু, ১০ শতাংশ মুসলমান এবং ৭ শতাংশ খ্রিস্টান রয়েছে। iqna