বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: গওহর বলেন, দীর্ঘমেয়াদী এই রোহিঙ্গা সংকট এখন শুধু বাংলাদেশের সংকট হিসেবে দেখা দেয়নি, বরং এটা এখন বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, মিয়ানমারে কি হচ্ছে? সেখানে যা হচ্ছে বিশ্বের সব দেশেরই তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত।
আজ বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) মিলনায়তনে এক সেমিনারের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিস ‘আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতা’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, নিছক স্থানীয়, জাতিগত বা ধর্মীয় সংঘাতের কারণে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা আসেনি।
তিনি বলেন, এটা সুপরিকল্পিত গণহত্যার ঘটনা। মিয়ানমার যা চায় এটা তারই বহিঃপ্রকাশ। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ দেশটিকে চীনা বংশদ্ভুত বৌদ্ধদের মনে করে।
ড. রিজভী আরো বলেন, তারা রোহিঙ্গাদের মুসলিমের বেশি কিছু মনে করেন না। তিনি বলেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওই ভূখণ্ড থেকে উচ্ছেদ করার জন্য কয়েক দশক ধরে অনিয়মতান্ত্রিক ও সুপরিকল্পিতাভাবে কাজ করেছে।
গওহর বলেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ এ লক্ষ্যে তাদের সংবিধান পরিবর্তন করেছে। তারা রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বহীন করেছে। রাতারাতিই এটা হয়নি। তবে আমি বলছি ঠাণ্ডা মাথায় গণহত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল এবং এভাবেই মিয়ানমারের সংখ্যালঘুরা দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই লক্ষ্য করেছি যে এই অঞ্চলে অস্ত্র আমদানি করা হচ্ছে। যদি আমরা সতর্ক না হই এবং আন্তর্জাতিকভাবে একসাথে কাজ না করি তবে সংকটটি এই অঞ্চলে বড় ধরনের অস্থিতিশীলতার কারণ হিসেবে দেখা দিবে।
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ব্যাপারে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক উভয় দেশের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। দু’টি দেশই তাদের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ককে আরো জোরদার করতে চায়। gonokantho