বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: গতকালের ওই হামলায় ইসরাইলের সেনা বহনকারী একটি সামরিক যান সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং এর ভেতরে থাকা সেনারা হতাহত হয়েছে। কোনো কোনো গণমাধ্যম বলছে, হামলায় ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলীয় ডিভিশনের কমান্ডার নিহত হয়েছে।
লেবানন সীমান্তবর্তী ইসরাইলের আভিভিম শহরের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায় হিজবুল্লাহ। হামলায় ইহুদিবাদী সেনাদের হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এ সংগঠন। ২০০৬ সালের পর ইসরাইলের ভেতরে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এই প্রথম হামলা।
গতকালের হামলার পর ইসরাইলি সেনারা দক্ষিণ লেবাননে ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবর্ষণ করে। অবশ্য এর পরপরই তারা হামলা বন্ধ করে দেয়।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের দক্ষিণে গত সপ্তাহে ইহুদিবাদী ইসরাইল হিজবুল্লাহর দুই যোদ্ধাকে হত্যা করে। এছাড়া, লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হিজবুল্লাহর একটি ভবনে গত ২৫ আগস্ট ড্রোন হামলা চালায় ইসরাইল। এসব হামলার জবাব দেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিলেন হিজবুল্লাহের মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ।
হাসান নাসরুল্লাহ এই ঘোষণার পর ইজরাইলের ভেতরে এক ধরনের ভীতি ছড়িয়ে পড়ে এবং যেকোনো ধরনের হামলা মোকাবেলার জন্য ইসরাইল সীমান্তে সেনা সমাবেশ ঘটাতে থাকে। তবে গতকাল হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে ইসরাইলি সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালানোর পরও ইসরাইল সীমিত পর্যায়ে জবাব দিয়েছে। এতে মনে করা হচ্ছে হিজবুল্লাহ সঙ্গে এই মুহূর্তে তারা বড় রকমের কোন যুদ্ধে জড়াতে ইচ্ছুক নয়, যদিও তারা হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে বড় ধরনের যুদ্ধের হুমকি দিয়েছিল। iqna