গাজায় নাসের এবং আল শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলের ধ্বংসযজ্ঞ এবং সেখানে আবিষ্কৃত গণকবরে শত শত লাশ মেলার খবরে ‘আতঙ্কিত’ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক। তার মুখপাত্র একথা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক এই হত্যাকাণ্ডের স্বাধীন, কার্যকর ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে হাসপাতালগুলো বিশেষ সুরক্ষা পাওয়ার অধিকারী এবং বেসামরিক নাগরিক, বন্দিদের ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করা একটি যুদ্ধাপরাধ।
এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৩৪ হাজার হাজার ২৫০ জন। এছাড়া গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে এবং গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৮৬ জন আহত হয়েছেন বলে বুধবার ওই অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ এ সপ্তাহে খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের গণকবরে শত শত লাশ পাওয়ার খবর জানান। ইসরায়েলি সেনারা হামলা চালিয়ে চলে যাওয়ার পর নাসেরসহ আল-শিফা হাসপাতালেও এমন গণকবরের সন্ধান মিলেছে। তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ গণকবর দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে।
আইডিএফ এর ভাষ্য, জিম্মিদের লাশ রয়েছে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা হাসপাতাল প্রাঙ্গনের কবরে থাকা লাশগুলো তুলে পরীক্ষা করে ফের কবরে রেখে দিয়েছে। এসময় লাশের কোনও অমর্যাদাও তারা করেনি বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের মুখপাত্র বলেছেন, মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কারণ, বহু লাশ পাওয়া গেছে। সেগুলোর মধ্যে কিছু লাশের হাত বাঁধা, যা মানবাধিকার আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবিকতা আইন লঙ্ঘনেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। এসব মানুষের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা নিয়ে আরও তদন্ত প্রয়োজন।
সূত্র : আলজাজিরা