বার্তা সংস্থা ইকনা: ইমাম মাহদী (আ.)-এর সময়ে অন্যায় কাজের নিষেধ কেবলমাত্র মুখেই করা হবে না বরং কার্যত অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ যার ফলে সমাজে আর কোন ফ্যাসাদ ও চারিত্রিক অবনতি দেখতে পাওয়া যাবে না এবং এবং সমাজ সকল প্রকার পঙ্কিলতা থেকে পবিত্র হয়ে যাবে৷
ইমাম মাহদী (আ.)-এর ন্যায়নিষ্ঠ হুকুমতে সকল অন্যায়-অত্যাচারের অবসান ঘটবে৷ তিনি যেহেতু আল্লাহর ন্যায়বিচারের বাস্তব চিত্র তাই ন্যায়পরায়ণ বিচারালয় গড়ে তুলবেন এবং সেখানে ন্যায়নিষ্ঠ, সৎকর্মশীল ও খোদাভীরু বিচারকদেরকে নিয়োগ করবেন৷ পৃথিবীর কোথাও কারোপ্রতি সামান্যতম জুলুম হবে না৷
তাঁর সময়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ভ্রাতৃত্ব ও সাম্যের সাথে গড়ে উঠবে৷ ব্যক্তিগত স্বার্থপরতা ও অর্থলিপ্সার স্থানে সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ব স্থান নিবে৷ তখন সকলেই প্রত্যেককে একই পরিবারের সদস্যমনে করবে৷ সুতরাং প্রত্যেকেই অন্যকে নিজের মনে করবে এবং তখন সর্বত্র একতা ও অভিন্নতার সুবাস ছড়িয়ে পড়বে৷
যদিও ইতোপূর্বে অর্থাৎ ইমাম মাহদী (আ.)-এর আবির্ভাবের পূর্বে মানুষ, লালসা ও সম্পদের আধিক্যের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত ছিল এবং গরিবদের প্রতি দান-খয়রাতের কোন ইচ্ছাই তাদের মধ্যে ছিল না৷ মোটকথা ইমাম মাহদী (আ.)-এর সময়ে মানুষ বাহ্যিক ও আন্তরিক উভয় দিক থেকেই স্বনির্ভর থাকবে৷এক দিকে অধিক সম্পদ সমভাবে বন্টিত হবে অন্য দিকে অল্পে তুষ্টি মানুষকে স্বনির্ভর করবে৷
মহানবী(সা.) বলেছেন, শেষ জামানায় আলীর বংশ থেকে একজন (মাহদী) আসবে যে দুনিয়া থেকে মিথ্যা ও অন্যায়কে উৎখাত করবে। তার মাধ্যমে মানুষের জন্য সুদিন আসবে এবং তিনি মানুষের গলা থেকে দাসত্বের বাধন খুলে দিবেন। সূত্র: shabestan