IQNA

ইমাম মাহদীর(আ.) দৃষ্টিতে ইমাম হুসাইনের(আ.) ১০টি বৈশিষ্ট্য

21:26 - December 03, 2017
সংবাদ: 2604469
আপনি সর্বদা পাপীদের পথকে পরিত্যাগ করেছিলেন, আপনি সেই মানুষ যিনি কষ্ট পেয়েছেন এবং কষ্ট ভোগ করেছেন তার মত আর্তনাদ করেছিলেন। আপনার রুকু ও সিজদা ছিল অতি দীর্ঘ। আপনি ধার্মিক ও দুনিয়া ত্যাগী ছিলেন। আপনি দুনিয়াকে পরিত্যাগ করে তার দিকে তাচ্ছিল্যের সাথে তাকিয়ে ছিলেন।



বার্তা সংস্থা ইকনা: এই বাক্যাংশে ইমাম মাহদী(আ.) অত্যন্ত আকর্ষণীয় ভাবে ইমাম হুসাইনের(আ.) ১০ টি বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন।

ইমাম হুসাইন (আ.) হলেন নবী (সা.)-এর পুত্র; তিনি কুরআন মজীদকে সমর্থন দান করেন; কুরআনে যা কিছু শব্দের আকারে রয়েছে ইমাম হুসাইন হলেন তার বাস্তব দৃষ্টান্ত। তিনি ছিলেন ইসলামের এবং ইমামতের শক্তি। ইমাম হুসাইন (আ.) সব যুগের উম্মাহর এবং ইসলামের ধর্মের শক্তিশালী হাত । আল্লাহর বাধ্যতা ও আনুগত্যের পথে তিনি কঠোর পরিশ্রমী ছিলেন।

ইমাম হুসাইনের ইবাদত (নামায, বিশেষ করে আরাফার প্রার্থনা) একটি অলৌকিক ঘটনা। তিনি আল্লাহ ও তার তাঁর সৃষ্টি সঙ্গে সম্পর্কের মাধ্যম।

তিনি সর্বদা ফাসেকদের পথকে পরিত্যাগ করেছেন এবং তাদের সাথে কোন ধরনের আপোষ করেন নি। ইমাম হুসাইনের আর্তনাদ ছিল অতি বেদনা বিধুর তিনি ঐ ব্যক্তির মত ছিলেন যার বুকের মধ্যে এক দুনিয়া কষ্ট বাসা বেধেছে। তিনি আল্লাহর দরবারে দীর্ঘ রুকু এবং সিজদা করতেন।

ইমাম হুসাইনের কাছে দুনিয়ার কোন মূল্য ছিল না। তিনি কখনোই দুনিয়ার পিছনে ছোটেন নি। তিনি ছিলেন মুত্তাকী পরহেজগার ও দুনিয়া ত্যাগী।

ইমাম হুসাইনের শাহাদাতে কষ্ট পেয়ে ফেরেশতারা প্রতিশোধ নেয়ার জন্য আল্লাহর অনুমতি চাইলে আল্লাহ বলেন: তোমরা ধৈর্য ধর এই জুলুমের প্রতিশোধ অবশ্যই নেয়া হবে এবং তা নিতে যদি দেরিও হয়। আর তা হবে আমার শেষ হুজ্জাত মাহদীর মাধ্যমে। তাকে কায়েমে আলে মুহাম্মাদ ও মুন্তাকিম বলা হয়। শাবিস্তান

captcha