বার্তা সংস্থা ইকনা: আহলে বাইতের কাছে বিশ্বের নেতৃত্ব তুলে দেয়ার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে কুরআনের প্রতি আমল করা। আর এ জন্যই শিয়ারা ইমাম মাহদীর জন্য প্রতীক্ষা করে এবং তিনি আসলে নিজেদের জীবনে বিনিময়ে হলেও বিশ্বের ক্ষমতা তার হাতে তুলে দিতে হবে।
সূরা নিসার ৫৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে,
إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تُؤَدُّوا الْأَمَانَاتِ إِلَى أَهْلِهَا وَإِذَا حَكَمْتُمْ بَيْنَ النَّاسِ أَنْ تَحْكُمُوا بِالْعَدْلِ إِنَّ اللَّهَ نِعِمَّا يَعِظُكُمْ بِهِ إِنَّ اللَّهَ كَانَ سَمِيعًا بَصِيرًا
আল্লাহ মালিকের কাছে আমানত ফিরিয়ে দিতে তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন৷ তোমরা যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ন্যায় বিচার কর৷ অবশ্যই আল্লাহ তোমাদের উত্তম উপদেশ দান করেন৷ নিশ্চয়ই আল্লাহ শোনেন ও দেখেন৷
প্রত্যেক আমানতের মালিক রয়েছে৷ প্রকৃত মালিকের কাছেই আমানত ফিরিয়ে দেয়া উচিত৷ রাষ্ট্র পরিচালনা ও বিচার করার মত আমানত অযোগ্য লোকদের হাতে ছেড়ে দেয়া ঈমানের লক্ষণ নয়৷ আমানতের মালিক যদি কাফেরও হয় তাও তার কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে৷
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে: মানুষের দীর্ঘ সিজদা ও রুকুর দিকে খেয়াল না করে তার সত্যবাদীতা ও আমানতদারীতার প্রতি দৃষ্টি দাও।
আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে ইমামতের আমানত রক্ষা করা এবং ইমামের আনুগ্য করা। যেভাবে আল্লাহর ও রাসূলের অনুগত্য না করা গোনাহ তেমনিভাবে ইমামের আনুগত্য না করাও গোনাহের কাজ।
এই আয়াতে আমানাতের অর্থ সম্পর্কে ইমাম রেজা(আ.) বলেনে:
هُُمُ الائِمةُ مِن آلِ مُحمَّد ان یُودی الامامُ الامانَةَ الَی مَن بَعدَهُ وَلا یَخُصَّ بِهَا غَیرَهُ وَلا یَزویَهَا عَنهُ»(الکافی.ج1،ص276).
তারা হচ্ছেন পবিত্র ইমামগণ। তাদের আনুগ্য করা ও তাদের খেদমত করাই হচ্ছে আমানত।