বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: জিও নিউজের বরাতে জানা যায়, স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের সতর্কতা সত্ত্বেও ক্রিস্টিয়ানস্যান্ড শহরে পবিত্র কোরআন পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে থারসন নামের এক অমুসলিম।
এর মাঝে ইলিয়াস নামের একজন মুসলিম পবিত্র কোরআন বাঁচানোর জন্য ব্যারিকেড সার্কেল ভেদ করে ঝাঁপিয়ে পড়ে সে কুলাঙ্গারের উপর। লোকসম্মূখে তাকে মারতে থাকে। কোরআন অবমাননার দায়ে তাকে খুব মারধোর করা হয়। স্যোশাল মিডিয়ায় সে ভিডিও মুহূর্তে ছড়িয়ে গেলে ইলিয়াস কে ‘হিরো অব দ্যা মুসলিম’ বলে অবহিত করা হয়।
তবে ইলিয়াসের বিস্তারিত কোনো পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। ইলিয়াসের প্রশংসা করে স্যোশ্যাল মিডিয়ায় ইতোমধ্যেই লক্ষ লক্ষ মানুষ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ইউরোপ এবং বিশ্বজুড়ে ইসলামফোবিয়ার উত্থানের বিষয়ে সতর্ক করতেও স্যোশ্যাল মিডিয়ায় সরব থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন মুসলিম কয়েকটি সংগঠন।
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পাকিস্তান ইউনিয়ন নরওয়ে (প্যান) এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। প্যান এর চেয়ারম্যান চৌধুরী কামার ইকবাল বলেন, একজন ব্যক্তি পবিত্র কোরআনের অবমাননা করে মুসলমানদের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। তিনি আরো বলেন, নরওয়েজিয়ানরা শান্তিপূর্ণ মানুষ, মুসলিমরাও এখানে শান্তিতে বসবাস করছিলো, যদিও ইদানিং ইসলামফোবিয়া বৃদ্ধি পেয়েছে, তারপরও নরওয়ে অন্যান্য ধর্মের অধিকারকে সম্মান করায় তারা বিশ্বজুড়ে বেশ সুনাম অর্জন করেছে।
এদিকে উগ্রবাদী কুরআন অবমাননার ঘটনায় কঠোর নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক, পাকিম্তানসহ বেশ কয়েকটি মুসলিম প্রধান দেশ। তারা বলেছেন, পবিত্র কুরআনের অবমাননা অগ্রহণযোগ্য, কিছুতেই এই সীমালঙ্ঘন মেনে নেয়া যায় না। ইসলাম বিরোধী সংগঠন ‘স্টপ দ্যা ইসলামাইজেশন অব নরওয়ে’কে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জন্য নরওয়ে-সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, ১৯৬০ এর দশকে প্রথম নরওয়েতে মুসলমানদের অবস্থান দৃশ্যমান হতে থাকে। ১৯৭৪ সালে রাজধানী অসলোতে প্রথম মসজিদ স্থাপিত হয়। বর্তমানে নরওয়েতে মুসলমানরা দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জনগোষ্ঠী। ২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী দেশটিতে মোট জনসংখ্যার ২.৩ শতাংশ মুসলমান। iqna