IQNA

জীবনধারার জন্য আশুরার সব থেকে বড় শিক্ষা

18:51 - October 30, 2017
সংবাদ: 2604204
মানুষ ফিতরাতগভ ভাবেই ন্যায়পরায়ণতাকে পছন্দ করে আর অন্যায় ও জুলুমকে ঘৃণা তথা অপছন্দ করে। ইমাম হুসাইন(আ.) যেহেতু সত্য ও ন্যায়ের প্রতীক তাই তিনি জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম হুসাইন(আ.) বলেন, مَا الاِْمَامُ إِلاَّ الْعَامِلُ بِالْكِتَابِ، وَ الآخِذُ بِالْقِسْطِ، وَ الدَّائِنُ بِالْحَقِّ، وَالْحَابِسُ نَفْسَهُ عَلَى ذَاتِ اللهِ.» সত্যবাদীদের নেতা তথা ইমাম হলেন তিনি যিনি আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী আমল করে, ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ায় আর নিজেকে আল্লাহর জন্য উজাড় করে দেয়।

ইমাম হুসাইনের আন্দোলনে আমরা সর্বদা ন্যায়পরায়ণতা এবং অন্যায়ের প্রতিবাদের বাণী শুনতে পাই। ইমাম বলেন: «أَلاَ تَرَوْنَ أَنَّ الْحَقَّ لاَ يُعْمَلَ بِهِ، وَ أَنَّ الْبَاطِلَ لاَ يُتَنَاهَى عَنْهُ؟» তোমরা কি দেখতে পাচ্ছ না যে সত্যের তথা হকের উপর আমল করা হচ্ছে না এবং অন্যায়ের বিরোধিতা করা হচ্ছে না।

ইয়াজিদ কেবল ধর্মের বিধান লঙ্ঘন করত, তা নয়; বরং সে এ কাজ করে আনন্দ প্রকাশ করত। সে ধর্মের বিধান নিয়ে ঠাট্টা করত, রাসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর প্রতি প্রকাশ্যে অসম্মানজনক উক্তি করত। তাই স্বয়ং ইয়াজিদের অস্তিত্বই ইসলামের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর ছিল।

ইমাম হুসাইন (আ.) বলেছেন: وَ عَلَى الْإِسْلَامِ السَّلَامُ إِذْ قَدْ بُلِيَتِ الْأُمَّة بِرَعٍ مِثْلِ يَزِيْدِ

ইয়াজিদের মতো লোক যদি উম্মতের রক্ষক হয় তা হলে এখানেই ইসলামের পরিসমাপ্তি।

শাসক হিসাবে এমন লোকের অস্তিত্বই ইসলামকে মিটিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। সে ইসলামের মধ্যে ইসলামবিরোধী বিষয় অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করছিল, সে ইসলামকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করছিল। তাই বাইয়াতের জন্য চাপ দেয়া হোক বা না হোক ইমাম হুসাইন আন্দোলন করতেন। তবে, বাইয়াতের চাপ তাঁর আন্দোলনকে গতিশীল করে।

মাওলা আলী(আ.) বলেছেন: «الْعَدْلُ أَسَاسٌ بِهِ قِوَامُ الْعَالَمِ» ন্যায়পরায়ণতা হচ্ছে ভিত্তস্বরূপ যার উপর পৃথিবী প্রতিষ্ঠিত আছে।

captcha