বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: মহানবী হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম'র ষষ্ঠ উত্তরসূরি এবং জ্ঞানের সব শাখায় অলৌকিক দক্ষতার অধিকারী এই মহান ইমামের হাজার হাজার উচ্চ-শিক্ষিত ছাত্রের মধ্যে অনেক উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ ও খ্যাতনামা বিজ্ঞানীও ছিলেন। রসায়ন বিজ্ঞানের জনক জাবির ইবনে হাইয়ান ছিলেন তাঁর ছাত্র।
মুসলমানদের ওপর বিশ্বনবী (সা.)'র পবিত্র আহলে বাইত ও এই বংশধারার নিষ্পাপ ইমামদের নেতৃত্ব বা বেলায়াত সম্পর্কে হযরত ইমাম জাফর আস সাদিক (আ.) বলেছেন, নামাজ, রোজা, হজ্ব ও জাকাতের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বেলায়াত বা আল্লাহর মনোনীত ইমামের তথা মুসলমানদের নেতার প্রতি আনুগত্য করা।
কারণ, বেলায়াত হল নামাজ, রোজা, হজ্ব, জাকাত- ইত্যাদি সব কিছুরই চাবিকাঠি। (আহলে বাইতের) ওয়ালি বা ইমাম হলেন (মুসলমানদের) শাসক, নেতা এবং ইবাদত সংক্রান্ত সব বিষয়ে মানুষের পথ-প্রদর্শক। (উসুলে কাফি, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-২৪২)
ইমাম জাফর আস সাদিক (আ.)'র মতে, মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছুই রয়েছে পবিত্র কুরআনে। আল্লাহ এমনটি করেছেন এ কারণে যাতে কেউ বলতে না পারে যে অমুক জরুরি বিষয়টি কুরআনে থাকলে ভাল হত। এই মহান ইমামের মতে দুজন মানুষের মধ্যে মতভেদ হতে পারে এমন সব বিষয়ের সমাধানও রয়েছে পবিত্র কুরআনে, কিন্তু মানুষের বুদ্ধি সেখান পর্যন্ত পৌঁছায় না।
বিশ্বনবী (সা.) আরো বলেছেন: তোমরা আহলে বাইতকে কিছু শেখাতে যেও না। কারণ, তাঁরা তোমাদের চেয়ে জ্ঞানী, তাঁরা তোমাদেরকে হেদায়েতের পথ বা সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত করবেন না ও বিভ্রান্ত করবেন না।
আমাদের সকলের ইমাম জাফর সাদিক(আ.) সম্পর্কে জানা ও মানা উচিত। আর বিশেষভাবে এই মহান ইমামের প্রতি এবং মহানবী হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম'র শানে পেশ করছি অসংখ্য দরুদ ও সালাম। শাবিস্তান
ইমামদের অনুসারীদের আলামত:- সদা সত্য কথা বলা, মিথ্যা পরিহার করা, আল্লাহর নির্দেশ মতো চলা এবং যেগুলো নিষেধ করেছে সেগুলো পরিহার করা এবং .........