বার্তা সংস্থা ইকনা: জুমার নামাজে অংশ নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হক, গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল ও গাজীপুর সিটি মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান।
এদিকে নিয়মিত তাবলিগ জামাতের বাইরেও ঢাকা-গাজীপুরসহ ১৬ জেলার কয়েক লাখ মুসল্লি নামাজে অংশ নেন। দ্বিতীয় পর্বে ৭৮ দেশের প্রায় চার হাজার ও প্রথম পর্বের শতাধিক বিদেশি মেহমান জুমায় অংশ নেন।
বৃহত্তম জুমার নামাজে অংশ নিতে ভোর থেকেই ইজতেমা মাঠে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা। দুপুর ১২টার দিকে ইজতেমা মাঠ ভরে আশপাশের খোলা জায়গাসহ সব স্থান জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
মাঠে স্থান না পেয়ে অনেকে মহাসড়ক ও অলি-গলিসহ যে যেখানে পেরেছেন পাটি, চটের বস্তা, খবরের কাগজ বিছিয়ে জুমার নামাজে শরিক হয়েছেন। ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বেশ কিছুক্ষণের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ও ব্যাপক প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন।
২১ জানুয়ারি দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০১৮ সালের বিশ্ব ইজতেমা।
এর আগে টঙ্গীস্থ ইজতেমা ময়দানে এবারের প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমায় কাকরাইল মসজিদের ইমাম হজরত মাওলানা যোবায়ের হাসান বাংলা ভাষায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন।
গত রবিবার বেলা ১০.৪০ মিনিটের দিকে শুরু হয়ে ১১.৩৫ মিনিটে শেষ হয়। প্রায় ৩৫ মিনিট স্থায়ী হয় আখেরি মোনাজাত।
ভারতের মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভিকে ছাড়াই এবারের বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত সমাপ্ত হয়েছে। টঙ্গীস্থ ইজতেমা ময়দানে মাওলানা সাদ কয়েক বছর ধরে ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করলেও এবার তার পরিবর্তে কাকরাইল মসজিদের ইমাম হজরত মাওলানা যোবায়ের মোনাজাত পরিচালনা করলেন।
ভারতের মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভিকে নিয়ে বিতর্ক ওঠার পর মাওলানা সাদ বাংলাদেশে এলেও টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় অংশ না নিয়েই শনিবার ফিরে গেছেন।
এদিকে নানা বিতর্কের অবসান ঘটাতে মাওলানা সাদ এবারের বিশ্ব ইজতেমায় অংশ না নিয়ে ফিরে যাওয়ায় তার অনুপস্থিতি স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছেন না তার অনুসারীরা। তাই অর্ধশতাধিক বিদেশি মুসল্লি ইজতেমার প্রথম পর্ব সম্পন্ন হওয়ার আগেই ময়দান থেকে চলে গেছেন। আগামী বছর বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে ১১ জানুয়ারি থেকে। আরটিএনএন