বর্তা সংস্থা ইকনা: ৯ জানুয়ারি ১৯৭৮ সালে কোমে সংঘটিত ঐতিহাসিক অভ্যুত্থান বার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া এক ভাষণে তিনি আজ এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন মার্কিনীরা আনন্দের সঙ্গে বলে বেড়ায় ইরানের ওপর আরোপিত বর্তমান নিষেধাজ্ঞা নাকি ইতিহাসে বিরল। অথচ ইরান এ ক্ষেত্রে মার্কিনীদের এমন শিক্ষা দেবে যা সত্যিই ইতিহাসে নেই।
সর্বোচ্চ নেতা তাঁর বাসভবনে আয়োজিত এক সমাবেশে দেয়া ভাষণে আরও বলেন, ইরানের সঙ্গে আমেরিকার মৌলিক সমস্যাটা হলো সত্যের সঙ্গে মিথ্যার দ্বন্দ্ব। এর কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, মানব রক্ত চোষা আধিপত্যবাদীদের জুলুমের বিরুদ্ধে ইরান দৃঢ়তার সঙ্গে রুখে দাঁড়িয়ে সমগ্র জাতিকে জাগিয়ে তুলেছে।
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, 'আমেরিকা নিপাত যাক' শ্লোগান এখন ইরানের বাইরেও বিভিন্ন দেশে শোনা যাচ্ছে। এটাকে তিনি ইরানের ইসলামি বিপ্লবের সাফল্য বলে উল্লেখ করেন।
আধিপত্যবাদীরা চেষ্টা করছে বিভিন্ন দেশে ইরান-ভীতি, ইসলাম-ভীতি কিংবা শিয়া ভীতি প্রচারের মাধ্যমে ইরানের স্বরূপ বিকৃত করতে। এরকম অপপ্রচার সত্ত্বেও ইরানের সঙ্গে সেসব দেশের কোনোরকম শত্রুতা নেই।
ইউরোপ আমেরিকায় সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনা-দুর্ঘটনাকে পশ্চিমা সভ্যতার স্বাভাবিক পরিণতি বলে মন্তব্য করেন সর্বোচ্চ নেতা। পক্ষান্তরে ধর্মভিত্তিক গণতান্ত্রিক ইরানের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। নিজস্ব সামর্থ্য ও আধুনিক সুযোগ সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে ইসলামি সভ্যতার সমৃদ্ধির দিকে ইরান এগিয়ে যাচ্ছে-এটাই শত্রুদের ভীতির কারণ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ইরানের সঙ্গে বিশ্বের জুলুমবাজ আধিপত্যবাদী শক্তিগুলোর দ্বন্দ্বের স্বরূপ বিকৃত করছে শত্রুরা। ইসলামি বিপ্লবের প্রভাবে বিভিন্ন দেশে মজলুমদের যে আন্দোলন চলছে সেটাকেই তারা ভয় পাচ্ছে। মজলুুমদের আন্দোলন যদি সফল হয় তাহলে আধিপত্যবাদ ও উপনিবেশবাদের ভিত সমূলে উৎপাটিত হবে বলে সর্বোচ্চ নেতা মন্তব্য করেন।